রাজৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতিকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম
 শফিক স্বপন, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
  শফিক স্বপন, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
                                    
                                    প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৫৮ | আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১১
 
                                        
                                    মাদারীপুরের রাজৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল মোল্লাকে মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে দুবৃর্ত্তরা। এঘটনায় রবিবার দুপুরে রাজৈর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে রাজৈর উপজেলার শিল্পকলা একাডেমির সামনে এঘটনা ঘটে। তিনি রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতের পরিবারের বরাত দিয়ে রাজৈর থানা পুলিশ জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে রাজৈর পৌরসভার কাউন্সিলর বাহাউদ্দিন মোল্লাকে সাথে নিয়ে বাসস্ট্যাণ্ড থেকে উপজেলা পরিষদের দিকে আসছিল রবিউল মোল্লা। এসময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে আসলে একদল দুর্বৃত্তরা এলোপাথারি বরিউল মোল্লাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এসময় কাউন্সিলর বাহাউদ্দিন মোল্লা দৌড়ে সরে যায়। পরে রবিউলকে মাথায় এলোপাথারি কোপ দিয়ে দুবৃর্ত্তরা চলে যায়। এসময় স্থানীয়দের সাথে হট্টগোল বাজলে আরো দুই জন আহতয়। পরে রবিউলের চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এসে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রবিউল মোল্লা রাজৈর উপজেলার পৌরসভার আলমসস্তার গ্রামের ছিদ্দিক মোল্লার ছেলে। সে রাজৈর উপজেলায় বিরাজমান শাজাহান খান গ্রæপের ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে পরিচিত। এঘটনায় রবিবার দুপুরে মামলার আবেদন করেন আহতের পরিবার।
এব্যাপারে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পণা কর্মকর্তা প্রদীন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘শনিবার রাতে রবিউলসহ আরো দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিউলের মাথায় ৯টি সেলাই দিতে হয়েছে। আপতত কোন ভয়ের কারণ নেই। তবে মাথার বিষয় দেখে, উন্নত চিকিৎসার পর্রামশ দিয়েছি।’
আহত রবিউল মোল্লা বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক কোন্দলে আমার উপর হামলা করা হয়েছে। আমি শাজাহান খানের লোক বিধায় রাজনৈতিকভাবে হামলা করা হয়েছে। আমার প্রতিপক্ষ হামলা করেছে বলে আমার বিশ্বাস। আমি তাদের বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নিবো। এহামলার পিছনে আমার প্রতিপক্ষকেই দায়ী করছি। আপাতত তাদের নাম বলছি না, মামলা হলে তাদের বিষয়টি জানানো হবে।’
এব্যাপারে রাজৈর উপজেলা আওয়ামীলীগের (শাজাহান খান গ্রুপ) আহবায়ক সাহাবুদ্দিন সাহা বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে রাজৈর উপজেলায় বিরাজমান দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই রাজৈরে উত্তাপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এঘটনার আগেও শনিবার বিকেলে দুই গ্রæপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রবিউলের হামলার পিছনে সেই ঘটনাকেই দায়ী মনে করছি। রবিউল অত্যন্ত শান্ত, ভদ্র ও নরম স্বভাবের একটি ছেলে। কেন তার উপর হামলা হলো, তা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।
এব্যাপারে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. সাদিক বলেন, ‘দু তিন দিন ধরে রাজৈরে উত্তেজনা চলছে। শনিবার বিকেল থেকেই থেমে থেমে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। কে বা কারা রবিউলের উপর হামলা করেছে জানি না। তারা আইনগত ব্যবস্থা চাইলে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে। এর বেশি কিছু বলছি না।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত
 
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
            