রাজস্ব আদায়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা যাবে না: এফবিসিসিআই সভাপতি
প্রকাশ: ২০ মে ২০২১, ২০:০৪ | আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭
করোনা মহামারির মধ্যে ব্যবসায়ীরা কঠিন সময় পার করছেন উল্লেখ করে রাজস্ব আদায়ে ব্যবসায়ীদের কোনো প্রকার হয়রানি না করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই) এর নতুন সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার সংগঠনটির নবনির্বাচিত সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। জসিম উদ্দিন বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে দেশের ব্যবসায়ী সমাজ কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আসছে বাজেটে কর নিয়ে এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া যাবে না, যা ব্যবসায়ীদের কাছে হয়রানিমূলক মনে হয়।
এফবিসিসিআই নতুন সভাপতি বলেন, দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চেম্বার এবং খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় সহজ শর্তে ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সকল কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে স্থানীয় চেম্বার এবং খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনের সংযোগ স্থাপনের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব। করোনা পরিস্থিতিতে অন্যদের মতো তারাও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এসব ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে।
জসিম উদ্দিন বলেন, শুধু এসএমই না পুরো শিল্পের জন্য সবাইকে পাশে নিয়ে কাজ করবে নতুন বোর্ড। জেলাভিত্তিক বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসমূহকে ক্লাস্টারিং করে রফতানিমুখী শিল্পে পরিণত করার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। এসএমই খাতের উন্নয়নে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম সফলতা অর্জন করেছে। এসব দেশের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে সচেষ্ট থাকব। এফবিসিসিআই-এর কার্যক্রমকে আরাও গতিশীল করার জন্য এর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমাদের কাজ হবে দেশের জন্য, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে। বর্তমানে শুধু ট্যাক্স ও ট্যারিফ দিয়ে শিল্প এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুরক্ষা সম্ভব নয়। তাই উন্নত দেশসমূহ তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমাদেরকেও একইভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের মর্যাদায় পৌঁছাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যসমূহ পূরণে ব্যবসায়ীদের যে দায়িত্ব রয়েছে, তা যথাযথ পালনে একটি কার্যকরী এফবিসিসিআই গঠনের জন্য আমরা উদ্যোগ নিবো।
এফবিসিসিআই-এর নতুন সভাপতি বলেন, পরিবর্তিত অর্থনীতির সঙ্গে সরকারের পলিসি সমন্বয়করণের উদ্যোগ নেয়া, আমদানি, রফতানি, শুল্ক, আয়কর ও ভ্যাট বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রদান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, ই-ব্যবসার সঙ্গে দেশীয় শিল্পকে সম্পৃক্তকরণ, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগে সম্প্রসারণ, মেধাসত্ত্ব সংরক্ষণ, ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নীতকরণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগ থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে এফবিসিসিআই-কে সম্পৃক্তকরণ, সরকারের গৃহীত স্পেশাল ইকোনমিক জোন, ট্যুরিজমপার্ক এবং অন্যান্য শিল্পপার্ক স্থাপনে এফবিসিসিআই-এর কার্যকরী অবস্থান প্রতিষ্ঠা করার জন্য নতুন বোর্ড এসব বিষয়ের ওপর গবেষণার আলোকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের উদ্যোগ নিবে এফবিসিসিআই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ সভাপতি এম এ মোমেন, হাবিব উল্লাহ ডন, আমিন হেলালী ও আমিনুল হক শামিম, সংগঠনটির সাবেক প্রথম সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাবেক সহ সভাপতি হেলাল উদ্দিন সহ নবনির্বাচিত পরিচালকরা।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত