রাকসু নির্বাচনের আগমুহূর্তে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি ঘোষণা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:১৭ |  আপডেট  : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:০৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সকল বৈষম্য দূরীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাসহ (পোষ্য কোটা) তিন দফা দাবি ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদায় না হলে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ঘোষণা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ঠিক চার দিন আগে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাবেন তারা।

ইতোমধ্যে তিন দফা দাবি-সংবলিত এ চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতরে পাঠিয়েছেন তারা।

তাদের দাবিগুলো হলো- প্রাতিষ্ঠানিক সকল সুবিধা বাস্তবায়ন করতে হবে, সকল প্রশাসক প্রথা বাতিল করতে হবে এবং শিক্ষকগণের জন্য ব্যক্তিগত চেম্বারের ব্যবস্থা ও গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতি। এ সময় জরুরি সেবা ছাড়া ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের পক্ষে স্বাক্ষর করা ৬ ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন, বিএনপিপন্থি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিম, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমীরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, শাখা জামায়াত সেক্রেটারি ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আহসান, অফিসার সমিতির বিএনপিপন্থি সভাপতি মোক্তার হোসেন ও জামায়াতপন্থি কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা।

এদিকে, রাবির ক্যাম্পাসজুড়ে রাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। গত রবিবার বিকালে লটারির মাধ্যমে ব্যালট নম্বর দেওয়ার পর থেকেই ক্যাম্পাসজুড়ে নির্বাচনি আমেজ শুরু হয়েছে। প্রার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যালট নম্বর-সংবলিত কার্ডসহ প্রচারণার পাশাপাশি ক্যাম্পাসের আবাসিক হলগুলোতে, গুরুত্বপূর্ণ চত্বরে, আড্ডাস্থলে, খেলার মাঠসহ আশপাশের মেসগুলোতে সশরীরে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উল্লেখ্য, রাকসু নির্বাচনে মোট ২৮ হাজার ৯০৫ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে রাকসু, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ৯০৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি মিলিয়ে একজন ভোটারকে ৪৩টি ভোট প্রদান করতে হবে। ভোট প্রদানের পর গণনা শেষে ২৫ সেপ্টেম্বরই ফল প্রকাশ করা হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত