রংপুরে আগাম জাতের সোনালী ধান গোলায় উঠার অপেক্ষায়

  সারওয়ার আলম মুকুল

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৩০ |  আপডেট  : ৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩

কাউনিয়ায় খরিপ-২ মৌসুমে রোপা আমন ধানের স্বল্পমেয়াদী হাইব্রিড ও উপশী জাতের সোনালী ধান গোলায় উঠার অপেক্ষায়। মাঠে মাঠে ধান পেকে সোনালী আকার ধারন করেছে। নানা প্রতিকুলতার পরও ক্ষেতের ধান দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে তিস্তা নদীর চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকায় স্বল্পমেয়াদী হাইব্রিড ও উপশী জাতের ধান পাকতে শুরু করেছে। মাঠে মাঠে সোলানী ধান উঁকি মারছে। সোনালী ধানের ভাল ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুঠেছে। কৃষক বলছেন কয়েক দিনের মধ্যে সোনালী ধান গোলায় তুলবেন। কেউ কেউ ধান কাটা শুরু করেছেন।

গদাই গ্রামের কৃষক আল আমিন জানায় তার ২৫শতক জমির ধান সোনালী আকার ধারন করেছে, দু-এক দিনের মধ্যে ধান কেটে গোলায় তুলবে। কৃষক নবীর হোসেন জানান তার ৫০ শতক জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে বাকি ৩০ শতক জমির ধান পাকতে শুরু করেছে। উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে অধিকাংশ আগাম জাতের ধান পাকতে শুরু করেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ

সূত্রে জানাগেছে খরিপ-২ মৌসুমে ২৮৩০ হেক্টর জমিতে স্বল্পমেয়াদী হাইব্রিড ও উপশী রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ধানীগোল্ড- ১২০, ইসপাহানি- ২০৫, এ্যারাইজ৭০০৬ জাতের- ১৭০ হেক্টর মোট ৪৯৫ হেক্টর এবং উপশি ব্রিধান৩৩-৩০, ব্রিধান৭১-১৭০, ব্রিধান৭৫-৭২০, ব্রিধান৮৭-৬০৫, বিনা ধান৭-৪০, বিনা ধান১৭-৩৫০, পারিজা ৩৫০ হেক্টর মোট ২৩৩৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান, ইতোমধ্যে আগাম জাতের পারিজা ধান কাটা শুরু হয়েছে। এপর্যন্ত ৫০ হেক্টর জমির ধান কর্তন হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষক খরার কবলে পরলেও অতিরিক্ত সেচ দিয়ে ফসল টিকিয়ে রেখেছে কৃষক এবং ফলনও ভাল হয়েছে। আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে মাঠে বর্তমানে যে অবস্থা তাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে। 

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত