রংতলির আঁচড়ে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা
প্রকাশ: ৯ অক্টোবর ২০২১, ১৯:১০ | আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬
বগুড়ার আদমদীঘিতে বাঙালী হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা কে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা। দুর্গা,গণেশ,কার্তিক, সরস্বতী,লক্ষী, অসুর,প্যাঁচা সহ সব ধরনের প্রতিমা তৈরি শেষে এখন চলছে রংতুলির আঁচড়। শিল্পীর নিখুত ছোঁয়ায় মূর্ত হয়ে উঠেছেন দেবী দুর্গা। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী গত বুধবার ছিল শুভ মহালয়া। শুভ মহালয়ার থেকে দুর্গা পুঁজার ক্ষণগননা শুরু হয়। তাই বুধবার থেকে শুরু হয়েছে মন্দিরে মন্দিরে মহালয়ার ঘট স্থাপন, বিশেষ পুঁজা, শক্সেখর ধ্বনি,ও চন্দ্রিপাঠের মধ্যে দিয়ে দেবীকে আমন্ত্রন।
মহামারি করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এবারও বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ। এর মধ্যে আছে দর্শনার্থী ও ভক্তদের বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরা, সামাজিক দুরত্ব মেনে প্রতিমা দর্শন ও অঞ্জলি প্রদান, মন্ডপে মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করা সহ ১৮টি নির্দেশনা। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ৬৪টি মন্ডবে দুর্গাপুঁজা অনুষ্টিত হবে। পুজাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও পুজা উদযাপন পরিষদের প্রস্ততি সভা সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসিত দেবনাথ বাপ্পা ও সাধারন সম্পাদক মিহির কুমার সরকার বলেন, এ বছর উপজেলায় ৬৪টি মন্ডপে দুর্গাপুজার আয়োজন করা হয়েছে। ৬ অক্টোবর বুধবার বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপুঁজার আয়োজন। ১১অক্টোবর সোমবার মহাষষ্টীর মধ্য দিয়ে ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমী পর্যন্ত পুজা আয়োজন চলবে। পুজার আনন্দ করতে গিয়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে যাক,এমনটা যেন না হয়, সে জন্য সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। আদমদীঘি উপজেলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন বলেন,আমাদের প্রস্ততি ভাল। ইতিমধ্যে টহল পুলিশ দল মন্ডবে মন্ডবে ডিউটি শুরু করেছে। আগামী ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিজয়া দশমী পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবনী রায় বলেন, শারদীয় দুর্গা পুজা উপলক্ষে ইতিমধ্যে মন্ডব গুলোতে প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুজা নির্বিগ্নে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসনে কোন্টলরুম খোলা হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত