যাকে ঘিরে ভারতের গণিত দিবস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩:৪১ |  আপডেট  : ২৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৯

 

শ্রীনিবাস রামানুজন (২২ ডিসেম্বর, ১৮৮৭ – ২৬ এপ্রিল, ১৯২০) অসামান্য প্রতিভাবান একজন ভারতীয় গণিতবিদ। খুব অল্প সময় বাঁচলেও তিনি গণিতে সুদূরপ্রসারী অবদান রেখে গেছেন। প্রথাগত শিক্ষা না থাকলেও সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায় তিনি গণিতের বিভিন্ন শাখায়, বিশেষ করে গাণিতিক বিশ্লেষণ, সংখ্যাতত্ত্ব, অসীম ধারা ও আবৃত্ত ভগ্নাংশ শাখায়, গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার রেখে যাওয়া নোটবুক বা ডায়েরি হতে পরবর্তীতে আরও অনেক নতুন সমাধান পাওয়া গেছে। ইংরেজ গণিতবিদ জি এইচ হার্ডি রামানুজনকে অয়েলার ও গাউসের সমপর্যায়ের গণিতবিদ মনে করেন। অবিভক্ত ভারতের মাদ্রাজের এক গরিব ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান রামানুজন ১০ বছর বয়সে গণিতের সঙ্গে পরিচিত হোন। তাকে এস এল লোনি লিখিত ‘’’ত্রিকোণমিতি’’’ পুস্তকটি দেওয়া হয় এবং তখন থেকে তিনি গণিতে সহজাত প্রতিভা প্রদর্শন করেন। ১২ বছরের মধ্যে তিনি ঐ পুস্তকের বিষয়গুলোতে দক্ষতা অর্জন করেন। এমন কি তিনি নিজে কিছু উপপাদ্য আবিষ্কার করেন এবং স্বতন্ত্রভাবে অয়েলারের এককত্ব পুনরাবিষ্কার করেন। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি গণিতে বিশেষ দক্ষতা দেখিয়ে পুরস্কার ও প্রশংসা লাভ করেন। ১৭ বছর বয়সে রামানুজন বার্নোলির সংখ্যা ও অয়েলার-মাসেরনি ধ্রুবকের ওপর নিজের গবেষণা সম্পন্ন করেন। কুম্বাকোটম সরকারি কলেজে পড়ার জন্য বৃত্তি পেলেও অ-গণিতীয় বিষয়ে ফেল করার কারণে তার বৃত্তি বাতিল হয়ে যায়। এরপর তিনি অন্য একটি কলেজে নিজের গাণিতিক গবেষণা শুরু করেন। এই সময় জীবন ধারণের জন্য তিনি মাদ্রাজ বন্দর ট্রাস্টের মহাহিসাবরক্ষকের কার্যালয়ে কেরানি পদে যোগ দেন।

ভারত সরকার ২২ ডিসেম্বরকে জাতীয় গণিত দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের প্রতিভাবান গণিতজ্ঞ শ্রীনীবাস রামানুজনের (২২ ডিসেম্বর ১৮৮৭- ২৬ এপ্রিল ১৯২০) ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এটি ঘোষণা করেছিলেন। এই উপলক্ষে সিং ঘোষণা করেছিলেন যে ২০১২ সালটি জাতীয় গণিত বছর হিসাবে পালিত হবে।

সেই থেকে, প্রতি ২২ ডিসেম্বর ভারতের জাতীয় গণিত দিবসটি পালিত হয় ভারতের বিভিন্ন স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অসংখ্য শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের সাথে।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত