মেহেরপুরে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল মহড়া
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০৩ | আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:১২
মেহেরপুরে দিনে কিংবা রাতে রাস্তা ফাঁকা পেলেই বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছে কিশোর গ্রুপ। এসব মোটরসাইকেল আরোহীদের বয়স ১৫-১৮ বছরের কিশোর বেশি। রাস্তায় আতঙ্ক তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন প্রতক্ষদর্শীরা। গত শুক্রবার রাত দশটার দিকে ৫-৬ টি মোটরসাইকেল মেহেরপুর শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে কে বা কারা দ্রুত গতিতে বেপরোয়া ভাবে চোখের পলকে শহরের প্রধান সড়কে রেচ করে চালিয়ে যেতে দেখে স্থানীয়রা। তাদের মাথায় ছিলনা কোন হেলমেট। শহরের হোটেল বাজার মোড় থেকে বেশ কয়েকজন স্থানীয়রা মেহেরপুর শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কের সামনে এসে তাদের সমালোচনা করতে দেখা যায়।
এসময় তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কতিপয় যুবক ৫-৬ টি মোটরবাইক নিয়ে বেপরোয়া গতিতে শহরের প্রধান সড়ক ধরে মুজিবনগর সড়কের দিকে তাদের চলে যেতে দেখা যায় বলে জানিয়েছেন। তারা আরো জানান, এত দ্রুত গতিতে মোটরবাইক চালানোর কারণে তারা ক’জন মোটরবাইক নিয়ে ছিল তা বুঝা দুস্কর।
এসময় স্থানীয়রা আরো বলেন, বেপরোয়াভাবে মোটরবাইক চালানোর জন্য মেহেরপুর জেলায় বেশ কয়েকজন যুবকের প্রাণ হারিয়েছে। এতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। দিনে প্রশাসনের ব্যাপক ভূমিকা থাকায় তারা শহরের প্রধান সড়কগুলো বাদ দিয়ে অলি-গলিতে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছে এবং সেই সাথে একটু রাত হলেই ফাঁকা শহরের প্রধান সড়কগুলো বেচে নিচ্ছে। এতে করে অনেকে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে।
তারা গার্জেনদের উদ্দেশ্যে জানান, সন্তানের প্রতি খোঁজ রাখার এবং সন্তান মোটরবাইক নিয়ে রাতে কোথায় যায়। এখনই এসব গার্জেনদের উচিৎ রাতে তাদের হাতে মোটরবাইক না দেওয়া। এই আতঙ্ক থেকে রেহাই পেতে প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা। মেহেরপুর সরকারী গার্লস স্কুলের একজন শিক্ষক বলেন, রাস্তায় বের হলেই বিভিন্ন মোড়ে দামি মোটরসাইকেল নিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায় বেশির ভাগই কিশোর।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, যুবকদের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য এ দূর্ঘটনা ঘটে বেশি। মারাত্মক জখম হওয়ার কারণে অনেক যুবকদের আমরা এখানে চিকিৎসা দিয়ে উপায় না পেয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া, রাজশাহী কিংবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে থাকি। এদিকে শহরবাসীর অভিযোগ বেপরোয়া মোটরসাইকেল আমাদের কাছে এখন নতুন আতঙ্কের কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত