মিয়ানমারের সেনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ব্যাখ্যা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রকাশ: ১ এপ্রিল ২০২১, ০৮:১৫ | আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ২০:২০
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে একা অংশ নেননি। বাংলাদেশসহ আটটি দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছেন। আর সেটি একটি রুটিন অনুষ্ঠান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ ব্যাখ্যা দেন।
মিয়ানমারে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে গত মঙ্গলবার চীন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, লাওস ও ভিয়েতনামের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হন। ওই দিন সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অন্তত ১১৪ জন নিহত হন। ওই কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী দেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে।
এ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে শুধু বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে যাননি, সেখানে আটটি দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছেন। মিয়ানমারকে আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তবে এটা (সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ) নিয়ে যাঁরা হইচই করছেন, তাঁরা কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করেননি। সেখানে ২৫ হাজার রোহিঙ্গা মারা গেল, নির্যাতন হলো, তখন তো তারা মিয়ানমারকে বর্জন করেননি।
পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মাত্র গত (মঙ্গলবার) সেনাবাহিনীর একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো সেখানে ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে। তাদের ব্যবসা সেখানে সাড়ে তিন গুণ থেকে ১৫ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে।
শ্রীলঙ্কাকে সমর্থন নিয়েও ব্যাখ্যা
শ্রীলঙ্কায় তামিলবিরোধী অভিযানে গণহত্যার অভিযোগ এনে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে শ্রীলঙ্কার পক্ষে ভোট দিয়েছে। যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আনা প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। গণহত্যা প্রশ্নে শ্রীলঙ্কাকে সমর্থনের কারণে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থান সমালোচিত হচ্ছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তামিলবিরোধী যে অভিযান হয়েছিল, সেখানে তদন্তের প্রশ্নে শ্রীলঙ্কা কখনো না বলেনি। বারবার বলেছে তদন্ত করবে। আর জাতিসংঘে কোনো দেশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আনা হলে বাংলাদেশ তা সমর্থন করে ভোট দেয় না। এটা বাংলাদেশের অবস্থান। এমনকি অতীতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রস্তাবেও বাংলাদেশ ভোট দেয়নি। প্রতিবেশীদের প্রতি বাংলাদেশ সব সময় এ অবস্থান বজায় রাখে। তা ছাড়া এই যে প্রস্তাব আনা হচ্ছে, সেটা বিশেষ উদ্দেশ্যে কি না, সেটা দেখার আছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত