মির্জা ফখরুলসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২২, ১১:৪৮ |  আপডেট  : ১৭ মে ২০২৪, ০২:৪৮

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এই আবেদন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন। তবে রাত ১টায় এই প্রতিবেদন পর্যন্ত মামলা নথিভুক্ত হয়নি।

পল্টন থানার ওসি সালাহ উদ্দিন মিয়া বলেন, ডিজিটাল আইনে মামলার জন্য একটি আবেদন পেয়েছি। এখনও মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি। সংশ্নিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে এটি পাঠানো হবে। মামলার বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের আহ্বায়ক পাভেল সিকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রাব্বানী রবিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।


মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক। গত ১৬ ও ১৭ জুলাই প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে ১ ও ২নং আসামির নির্দেশে অন্যান্য এজাহারনামীয় আসামিরাসহ বিএনপি ও তার অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অশালীন এবং রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে। তাছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীকেও উদ্দেশ্যে করে একই ধরনের মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করে। তাদের দ্বারা নির্দেশিত হয়ে ৬নং এজাহারনামীয় আসামি পাভেল সিকদারসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফেসবুক ও ইউটিউবে একই ধরনের মানহানিকর, উসকানিমূলক বক্তব্য ও ভিডিও প্রচার করে।

এজাহারে আরও বলা হয়, আমি গত ১৭ জুলাই বিকাল অনুমান ৪টায় পল্টন মডেল থানাধীন ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বসে আমার ফেসবুক আইডি ব্রাউজ করে দেখতে পাই ৬নং এজাহারনামীয় আসামি পাভেল সিকদার তার ফেসবুক আইডি থেকে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে বলিয়া উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে মর্মে মানহানিকর আপত্তিকর বক্তব্য প্রচার করে। যার লিংক https://www.facebook.com/pavel.sikder5 এবং ওই ফেসবুক লিংক পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, মাসুদ রানাসহ আরও ৮৯ জনকে ওই লিংক শেয়ার করে।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়, একরম প্রচারের ফলে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টিসহ দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি ও আইন শৃংখলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে। তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানা এলাকায় জঙ্গি মিছিল বের করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে। ১ ও ২নং আসামিদ্বয়ের নির্দেশে এজাহার নামীয় আসামিরা বিএনপি ও তার অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর নামে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করে এবং পরস্পর যোগসাজশে নেতাকর্মীদেরকে উসকানিমূলক বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ করে এবং তা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করে দেশের আইনশৃংখলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করার অপরাধ করেছে।

দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ-আলোচনা করে থানায় এসে এজাহার দায়ের করতে দেরি হয়েছে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত