মাশরাফির কাছে নালিশ করে মার খেলেন সেই নারী!
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:৫৫ | আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:১৭
নড়াইল সদর হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজাকে অভিযোগকারী সেই নারীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে আট চিকিৎসক ও দুই মেডিকেল প্যাথোলজিস্টকে করা শোকজপত্রও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আসাদ-উজ-জামান মুন্সী গণমাধ্যমকে জানান, আটজন চিকিৎসককে শোকজ করার পরে ওই দিন বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা হাসপাতালে আসেন। পরবর্তীতে সেই শোকজপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
হাসপাতালে এক নারীকে (রোগীর দাদি) মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই নারী এক শিশু রোগীর দাদি হন। তাদের ডিসচার্জ করে দিলেও খাবারের বিষয় নিয়ে এক আউটসোর্সিং কর্মীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, শিশু রোগীর দাদি তাকে (আউটসোর্সিং কর্মীকে) মারপিট করেন। একপর্যায়ে আউটসোর্সিংয়ের কর্মীসহ ৪-৫ জন মিলে পাল্টা তাকেও মারপিট করেন।
তিনি বলেন, আউটসোর্সিং কর্মীকে যদিও ওই নারী আগে মেরেছে, তবুও হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মী কেন মারপিট করল? এজন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পারভিন নামে ওই আউটসোর্সিং কর্মীকে প্রত্যাহার করার জন্য বলা হয়েছে।
মারধরের বিষয়ে ওই নারী বলেন, সোমবার দুপুরে হাসপাতালের এক আয়া ওয়ার্ডে আসলে তাকে বলি ভাত দাও। তখন ওই আয়া চিৎকার করে বলে তোর নাম নেই, তোরে ভাত দেওয়া যাবে না। তখন আমি বলি যেসব রোগী দুপুরের আগেই বাড়ি চলে গেছে তাদের একজনের খাবার দিলে কী হবে। তখন ওই আয়া বলেন, যেমন কুকুর তেমন মুগুর। এ কথার প্রতিবাদ করলে সে আমার চুলের মুঠি ধরে পায়ের স্যান্ডেল দিয়ে মারছে।’
তিনি বলেন, মাশরাফি হাসপাতালে আসলে আমি তাকে বলেছিলাম হাসপাতালে ময়লা থাকে, ডাক্তাররা ঠিকমতো আসে না, সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। ওষুধ, খাবার দেয় না। এইসব কথা বলার জন্য আমারে তারা জুতাপেটা করে।
উল্লেখ্য, হঠাৎ করে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ঝটিকা সফরে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি। এ সময় হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন না। রোগীরা ঠিকমতো খাবার না পাওয়া, ওষুধ না দেওয়া, চিকিৎসক ও মেডিকেল প্যাথোলজিস্টদের সময়মতো হাজির না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান মাশরাফি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত