মামুনুল হক আমার সঙ্গে অন্যায় করেছে, আমি রাষ্ট্রের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই: জান্নাত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২১, ১৫:০৩ |  আপডেট  : ২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৭

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা বলেছেন, ‘আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে মামুনুল হক আমার সঙ্গে অন্যায় করেছেন। আমি তার বিচার চাই।’

দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতের আলোচিত এই নেতার বিরুদ্ধে শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা করেছেন ঝর্ণা।

মামলার পর সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ঝর্ণা বলেন, ‘উনি (মামুনুল) সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার সঙ্গে অন্যায় করেছেন। অনেক দিন ধরে প্রতারণা করেছেন। আমি রাষ্ট্রের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।'

হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব (সদ্য বিলুপ্ত কমিটির) মামুনুলকে গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ করে স্থানীয় একদল। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে যান। পরে হেফাজতের কর্মীরা গিয়ে রিসোর্টটিতে ভাঙচুর করে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

ঘটনাটি নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠার পর মামুনুল হক দাবি করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তালাকপ্রাপ্ত ওই নারীকে শরিয়তের বিধি মোতাবেক তিনি বিয়ে করেছেন। তাকে স্ত্রীর মর্যাদা, সম্পত্তির অধিকার এবং সন্তান ধারণ না করার শর্তে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। ১৮ এপ্রিল হেফাজতের এই নেতাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

গত সোমবার ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমান মেয়ের খোঁজ পাচ্ছেন না জানিয়ে তাকে উদ্ধারে রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এছাড়া মাকে ফিরে পেতে ১১ এপ্রিল পল্টন থানায় আরেকটি জিডি করেন ঝর্ণার বড় ছেলে আব্দুর রহমান জামি। এরপর গত মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলার একটি বাসা থেকে ঝর্ণাকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়।

এজাহারে যা বলা হয়েছে

জান্নাত আরা ঝর্ণা এজাহারে উল্লেখ করেন, বিয়ের প্রলোভন ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মামুনুল হক তার সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললে মামুনুল করছি, করব বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১৮ সাল থেকে ঘোরাঘুরির কথা বলে মামুনুল বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টে তাকে নিয়ে যান।

এজাহারে ঝর্ণা আরও বলেন, ‘২০০৫ সালে তার স্বামী মাওলানা শহীদুল ইসলামের মাধ্যমে মামুনুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয়। স্বামীর বন্ধু হওয়ায় তাদের বাড়িতে মামুনুলের অবাধ যাতায়াত ছিল। মামুনুলের সঙ্গে পরিচয়ের আগে তারা সুখে–শান্তিতে বসবাস করছিলেন। স্বামী-স্ত্রীর মতানৈক্যের মধ্যে প্রবেশ করে মামুনুল হক শহীদুল ও আমার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন। মামুনুলের কারণে তাদের দাম্পত্য জীবন চরমভাবে বিষিয়ে ওঠে। সাংসারিক এই টানাপোড়েনে একপর্যায়ে মামনুলের পরামর্শে বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত