মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মন্টুসহ ৩ রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২২, ১২:০২ |  আপডেট  : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নওগাঁ জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. রেজাউল করিম মন্টুসহ তিনজনকে ফাঁসির সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মোট ১৪০ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণা করা হয়।

মঙ্গলবার (৩১ মে) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

মন্টু ছাড়া মামলার অপর দুই আসামি হলেন— নজরুল ইসলাম (৬৪) এবং মো. শহিদ মণ্ডল (৬২)। তাদের মধ্যে শহিদ ও মন্টু কারাবন্দি অবস্থায় আছেন। আর নজরুল ইসলাম পলাতক।

২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর মামলাটির তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে মোট ৩১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগ-১

এই অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক চারটা থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের রানাহার গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র সাহেব আলী, আকাম উদ্দিন, আজিম উদ্দিন মণ্ডল, মোজাফফর হোসেনকে হত্যাসহ ওই সময় ১০-১২টি বাড়ি লুট করে অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগ-২

এই অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খোঁজাগাড়ি গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র মো. নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। এসময় তারা ১৫-২০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগ-৩

এই অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক পাঁচটা থেকে পরদিন অর্থাৎ ৯ অক্টোবর আনুমানিক বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময়ে নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মো. কেনার উদ্দিন এবং মো. আক্কাস আলীকে অবৈধভাবে আটক করে নির্যাতন করে। পরে অপহরণ করে জয়পুরহাটের কুঠিবাড়ি ব্রিজে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এই সময়ের মধ্যে আসামিরা ৪০-৫০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত