মাদারীপুরে এবারে কুরবানীর হাট মাতাবে লালা বাবু
প্রকাশ: ১ জুলাই ২০২১, ১৩:৫৪ | আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৮
লম্বায় ৯ ফুট এবং উচ্চতায় ৫ ফুট ৩ ইি । ওজন ১ হাজার কেজি। তিন বেলায় ২০ কেজি খাবার লাগে তার। লালাবাবু কোন ব্যক্তি নয়। বলছি মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকার আব্দুল মান্নান শরীফ এর ছেলে সৌদি ফেরৎ দীন ইসলামএর পালিত ফ্রিজিয়ান জাতের গরু লালাবাবুর কথা। লালাবাবুকে দেখতে প্রতিদিনদীন ইসলামের বাড়িতে বীড় করেন শরয়িতপুর,শিবচর,রাজৈর, আঙ্গারিয়াসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ। মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের সৌদি ফেরৎ দীন ইসলামএর পালিত গরু লালাবাবু। এ বছরে মাদারীপুরের কোরবানীর পশু বলেই ধরা হচ্ছে এ গরুটিকে। তাইতো আদর করে লালাবাবু এর নাম রেখেছেন খামারী দীন ইসলাম। বেশ জামাই আদর করে রাখা হয়েছে ৪ বছর বয়সী লালাবাবুকে।
সৌদি ফেরৎ দীন ইসলাম জানান, সৗদি আরবে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি বছর ৪ আগে দেশে ফিরে আসি দেশে এসে বেকার ঘোরাফেরা করলে এলাবার বন্ধু-বান্ধব বলল, তুই ঘোরাফেরা না করে একটা গরুর ফার্ম দেও। ফার্ম এর এখন অনেক চাহিদা। তখন নিজ উদ্যেগে গরুর ফার্ম দিয়ে এবং মা রাহাতুন নেছার ডিপিএস এর টাকা ভাংগিয়ে ফ্রিজিয়ান গরু ক্রয় করে লালন পালন করে আজ লালাবাবু হয়েছেন। এই গরুর জন্য প্রতিদিনের বাজেট সাড়ে তিন হাজার টাকা। খাবারের মেনয়ুতে রয়েছে কলা,মাল্টা,চিড়া,বেলের শরবত,ছোলা,মশুড়ি ভুসি.গমের ভুসি, খেসারির ভুসি,খেশাড়ির ডাল,চিটা গুড়,খৈল, ভুট্টা, ভাতের মাড়,নিপিয়ার ঘাস,কুডা। নিরাপত্তার জন্য সাতক্ষরিা থেকে আনা নৈশ প্রহরী সর্বদা বাড়ির চারপাশের রাস্তায় টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন লালন-পালন করায় মায়ায় পরে নাম রাখা হয়েছে লালাবাবু।
এ ছাড়াও কোরবানীর হাটে বা অনলাইানে বিক্রির জন্য লালাবাবু ছাড়াও সিংহরাজ এবং মনিরাজ নামে আরো ২টি গরু তৈরী করা হয়েছে। লালাবাবুর ওজন ৮ শত কেজি এবং দাম হাকেছেন প্রায় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা সিংহরাজ যার ওজন আনুমানিক ৭ শ ২০ কেজি অর্থাৎ ১৮ মন দাম হাকা হয়েছে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, মনিরাজ যার ওজন ৬শ কেজি বা ১৫ মনদাম হাকা হয়েছে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
লালাবাবুর ওজন ও আকৃতির দিক থেকে এ অ লের সব চাইকে বড় বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। এদিকে আসন্ন কোরবানী ঈদের জন্য লালাবাবুকে প্রস্তত করা হলেও করোনার জন্য এর ন্যায্য মূল্য নিয়ে চিন্তিত খামারি দিন ইসলাম।
লালাবাবুকে দেখতে আসা ছিলারচর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মানিক আকন জানান,আমি এখন পর্যন্ত এত বড় আকৃতির গরু দেখি নাই। গরুটি একেবারে দেশীয় খাবার খাইয়ে আসন্ন কোরবানী ঈদে বিক্রির জন্য তৈরী করা হয়েছে। দেখতে আসা শান্ত চৌকিদারও জানান,এই গরুটিকে দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভীড় করে। আসলে সম্পূুর্ন দেশীয় খাবার খাইয়ে তৈরী করা হয়েছে লালাবাবুকে।
লালাবাবুর মালিক দিন ইসলাম জানান, মহামারী করোনায় কোরবানীর হচে যেতে না পারলেও অনলাইনের মাধ্যমে গরুটি বিক্রি করা যাবে। তার মুঠো ফোন ০১৭২১৮৬৬৫৪৯ । বিএির ব্যপারে দাম কম বেশী বার দর দাম করার সুযোগ রয়েছে। অন লাইনে বিক্রি করার জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন মাদারীপুরের টিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিস রঘুরা¥পুর এলাকার খামারী লালাবাবুর মালিক দিন ইসলাম।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত