মাদারীপুরে ইফতারে চেতনানাশক খাইয়ে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট!

মাদারীপুরে ইফতারির খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যাবার সময় দুইজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। রোববার (১৬ মার্চ) সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পশ্চিম রঘুরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গৃহকর্তা ও তার স্ত্রী অসুস্থ অবস্থায় একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে পশ্চিম রঘুরামপুর গ্রামের গোলাম রহমান ফকিরের বাড়িতে কয়েকজন শ্রমিক রাজমিস্ত্রির কাজ করতে আসেন। শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারির খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে দেন ওই শ্রমিকরা। খাবার খেয়ে বাড়ির লোকজন অচেতন হয়ে পড়েন। এই সুযোগে রোববার ভোররাতে বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। পড়ে সেহরি শেষে নামাজ পড়তে বের হওয়ার সময় স্থানীয়রা বাড়ির দরজা খোলা দেখে ভিতরে প্রবেশ করলে গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর খোঁজাখুঁজি শুরু হয় এবং এলাকাবাসী মোটরসাইকেল নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। পরে ইজিবাইকে থাকা অবস্থায় রাজমিস্ত্রিদের ধাওয়া করে এবং হাজমকান্দি এলাকায় ছদ্মবেশী রাজমিস্ত্রিদের গতিরোধ করেন তারা। এ সময় গণপিটুনি দেয়ার পর তাদের আটক করা হয়।
 
আটক ব্যক্তিরা হলেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার হাসানপুর গ্রামের আমিন খাঁ (২৫) এবং দিঘলিয়া এলাকার রুবেল মিয়া (৩৫)। তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে পুলিশ। গণপিটুনিতে আহত দুইজনসহ গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীকে মাদারীপুর জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ভোরে গণপিটুনিতে আহত দুইজনসহ চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।
 
ভুক্তভোগী গোলাম রহমান ফকিরের মেয়ে তানিয়া আফরোজ বলেন, এরা মুখোশধারী ডাকাত, এদের কঠিন বিচার হওয়া উচিত।
 
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, লুট হওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আটক দুইজন পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঘটনাস্থল থেকে ইরান নামের আরও একজন পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।