মাদারীপুরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে তরমুজ, তবে দাম চড়া
প্রকাশ: ৩ এপ্রিল ২০২২, ১৫:৪৭ | আপডেট : ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৫
মাদারীপুর জেলার ৪ টি উপজেলা ও ৫টি থানার বাজার গুলোতে মৌসুমী ফল তরমুজ উঠতে শুরু করেছে। ইতোমধে বাজার গুলোতে প্রচুর তরমুজ দেকা দেওয়ায় ক্রেতাদের নজর কেরে নিয়েছে। তবে দাম একটু চড়া।
ক’দিন বাদেই গ্রীষ্মকাল শুরু হবে। ভ্যাপসা গরমে তৃষ্ণা নিবারণে ও প্রশান্তির জন্য তরমুজের একটি ফালি যথেষ্ট। মাদারীপুর জেলার সদর,কালকিনি,রাজৈর, শিবচর, উপজেলা ও ডাসার থানার হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ। রসাল ফল হিসেবে তরমুজের চাহিদা ব্যাপক। মৌসুমের নতুন ফল কিনতে দোকানে ভিড় করছেন অনেকে। গ্রীষ্মকালের এই ফল নিয়ে ঘরে ফেরেন হাটবাজারে আসা অধিকাংশ মানুষই। তবে বেশি দামের কারণে সব শ্রেণির মানুষ কিনতে পারছেন না।
সরেজমিনে জেলা শহরেরর পুরান বাজারে রোববার (০৩ এপ্রিল( ঘুরে দেখা গেছে, স্বল্প দামের তরমুজ কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের। ছোট আকারের তরমুজ ১২০-১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে ১২০-১৫০ টাকার নিচে তরমুজ নেই। মাঝারি আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। তরমুজের আকার অনুযায়ী দাম বেশি হওয়ায় কিছু মানুষ খালি হাতেই ফিরে যাচ্ছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তরমুজ কেনা বেশ কষ্টকর হয়ে উঠছে দিন দিন।
শহরের শান্তি নগর এলাকার রিক্সা চালক বাদশা মিয়া বলেন, ‘বাজারে মৌসুমের নতুন ফল তরমুজ উঠেছে। কেনার ইচ্ছায় দোকানে গিয়ে দাম শুনে খাওয়ার ইচ্ছা চলে গেছে। একটি তরমুজ কিনতে দেড়শ থেকে দুইশ’ টাকা লাগবে। সারাদিনে আমাদের আয় যা হয়, তা দিয়ে চাল-ডাল কিনবো নাকি তরমুজ কিনে খাবো!’
তরমুজ বিক্রেতা মন্টু বলেন, আমাদের অঞ্চলে তরমুজের আবাদ তেমন হয় না। কয়েকটি এলাকাতে আবাদ হলেও এই সময়ে বাজারে আসে না। এখনই দাম মোটামুটি ঠিক আছে। আর বাড়লে সমস্যা হবে। আমরা পাইকারি কিনে আনি। দাম কমলে খুচরা বাজারেও দাম কম হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বরিশালের তরমুজ দিয়েই মাদারীপুরের চাহিদা মেটে। মাদারীপুর অঞ্চলে ফাল্গুন মাস থেকেই সচরাচর গরম পড়তে শুরু করে। এ অঞ্চলে গরম বেশি পড়ায় তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকে। লাভবান হতে ব্যবসায়ীরা মৌসুম জুড়ে তরমুজ ব্যবসায় ঝুঁকছেন
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, তরমুজে খুব সামান্য ক্যালরি আছে। তাই তরমুজ খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। তরমুজের ৯২ শতাংশই পানি। শরীরে পানির অভাব পূরণে ফলের মধ্যে তরমুজই হলো আদর্শ ফল। মৌসুমী এই ফলটির রয়েছে নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তরমুজ হলো ভিটামিন ‘বি৬’-এর চমৎকার উৎস, যা মস্তিষ্ক সচল রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি খেলে দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত অসুস্থতা কমে। এ ফলটি নিয়মিত খেলে প্রোস্টেট ক্যানসার, কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে না। তরমুজের আরও একটি গুণ হলো এটি চোখ ভালো রাখতে কাজ করে। তরমুজে ক্যারোটিনয়েড থাকায় এ ফলটি চোখ ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। একইসঙ্গে চোখের নানা সমস্যার প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে তরমুজ।
তরমুজের চড়া দাম প্রসঙ্গে মাদারীপুরের বিশিস্ট সাংবাদিক, গল্পাকার রিপন চন্দ্র মল্লিক বলেন, জেলার মার্কেটি অফিসের কর্মকর্তাদের কোন তদারকি না থাকায় সাধারণ জসগণ তরমুজ ক্রয় করতে পারছে না, তাদের মনিটরিং জোরদার প্রয়োজন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত