বোদায় ভি ডাব্লিউবি বিতরণকালে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১৬:৪০ |  আপডেট  : ২৭ মে ২০২৫, ২৩:৩৫

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝলইশালশিরি ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় সরকারের চলমান ভারনারেবল গ্রুপ বেনিফিট- ভি ডাব্লিউ ডি [ভিজিডি) বিতরণকালে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এই অনিয়মের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার [২৬ মে)। টাকা প্রদানের বিষয়টি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এক উপকারভোগিকে ভিডিওতে সাক্ষাত দিতে দেখা গেছে। এ সময়  তিনি ছয়শত টাকা দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।  

জানা যায়, সরকার  ভি ডাব্লিউবি [ভিজিডি) আওতায় দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারকে বিনামূলে এই ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে আসছে। সূত্র মতে, বর্তমান সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল চলমান এই ভি ডাব্লিউবি কে আরো বিস্তৃত করার  নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। বিষয়টি পরবর্তীতে আর হয়নি। ফলে এই পাঁচ মাসের ত্রাণ ভিডাব্লিউবি একত্রে আগের উপকারভোগিদের মাঝে বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

তারই ফলশ্রতিতে ২৬মে সোমবার এসব ত্রাণ বিতরণে দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল। বিতরণকালে প্রতিজন প্রতিমাসে ৩০ কেজি হিসাবে বাদ পড়া পাঁচ মাসে ৩০ কেজির পাচ বস্তা চাল বিতরণকালে আকস্মিকভাবে ওই সকল দুঃস্থ উপকারভোগিদের জনপ্রতি নগদ ছয়শত টাকা উৎকোচ আদায় করে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যা ও সদস্যাগন।এর এক পর্যায়ে এলাকায় বিষয়টি সবার নজরে আসলে কানা ঘুষাশুরু হয়।একপর্যায়ে বিষয়টি সবর্ত্র ছড়িয়ে পড়ে।তারই কারণে  অভিযোগকারির অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাক্ষাত দেওয়ার ফলে তা এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। সাক্ষাতে দুইজনকে বলতে শোনা যায় [১,২,৩ ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য শেফালী রানী তার নিকট ছয়শত টাকা উৎকোচ নেন।তবে তার মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন ‘ আমার ভুল হয়েছে। আর কখনো নিবোনা।এদিকে  ইউপি সদস্যা বিলকিছ বেগমের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছে। তবে তিনি মুঠোফোনে বলেন প্যানেল চেয়ারম্যান চাল আনার ব্যয়ের কারণে তিনি এই টাকা নিয়েছেন। ওই টাকা তিনি প্যানেল চেয়ারম্যানের নিকট জমা দিয়েছেন। 

এ ব্যাপারে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মামুন জানান, এ ঘটনার পর সেখানে সেনাবাহিনী আসে। এখনো তারা [সাড়ে নটা পর্যন্ত এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত)া উপস্থিত আছেন। তারা [সেনাবাহিনী) সব টাকা এক জায়গায় রাখতে বলেছে আমরা সেই টাকা পরিষদে রেখেছি। ইউএনও স্যার আসতেছে উনি কি বলে শুনি‘ আমরা সবাই এখানে আছি।  কি কারণে তারা এ টাকা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন চাল আনার ভাড়া তুলতে এ টাকা নিয়েছি। তবে সবাই নেয়নি ‘ সবাই ছয়শত টাকা দেয়নি। কেউ দুইশথ কেউ তিনশত করে দিয়েছি।এ বিষয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির তার  মুঠোফোনে জানান ‘‘বিষয়টি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’’। জানা যায়, ২৫ মে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার খাদ্য গুদাম থেকে  ঝলই শালশিরি ইউনিয়নের উকারভোগিদের জন্য মোট ৩৮ মেট্রিক টন ৭শত কেজি চাল উত্তোলন করা হয়।  সূত্র মতে, প্রতিজন উপকারভোগির নিকট ছয়শত টাকা উৎকোচ হিসেবে হিসাব দাঁড়ায় প্রায় দেড়লাখ টাকা।অপরদিকে বোদা খাদ্যগুদামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৬টি মহেন্দ্রতে এই চাল কেরিং করে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনটি মহেন্দ্রতে ব্যয় ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। এদিকে ডেভিল হান্ট অভিযানে আটক হওয়া ঝলইশালশিরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বর্তমানে জেল হাজতে আছেন।স্থানীয়দের অনেকে বলেন  ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) নিকট বিষয়টি  নিজ চোখে দেখার পরেও তাতে তিনি বাধা দেননি কেনো। এ বিষয়ে সচিবের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি তার ফোনটি রিসিভ করেননি।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত