বিস্ফোরণে অক্সিজেন প্ল্যান্ট ধ্বংসস্তূপ, উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৫ মার্চ ২০২৩, ১১:০৪ |  আপডেট  : ৪ মে ২০২৪, ১৫:৫০

হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেঁপে ওঠে। দুই কিলোমিটার দূর থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি থাকা অনেক ভবন ও স্থাপনার কাচ ভেঙে গেছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে প্ল্যান্টটি। সেইসঙ্গে কারও হাত কারও পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শনিবার (৪ মার্চ) বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকার সীমা অক্সিজেন অক্সিকো প্ল্যান্টে এ বিস্ফোরণ ঘটে। এখন পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ ১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে অংশ নেয় সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব ও পুলিশ। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে প্ল্যান্টের আশপাশের বেশ কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে এসব বাড়িঘরের জানালার কাচ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান।

শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিরা নূর বলেন, ‘সীমা অক্সিজেন অক্সিকো কারখানায় অক্সিজেন বোতলজাত করা হয়। এই অক্সিজেনের সাহায্যে জাহাজ কাটা হয়। মূল কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্তের পর জানা যাবে।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত কারখানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হাজার হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার। বিস্ফোরণের মাত্রা এতই তীব্র ছিল যে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে উড়ে যাওয়া প্ল্যান্টের লোহার টুকরার আঘাতে আশপাশের বেশ কয়েকটি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কারখানা এলাকা। আশপাশের ভবনের কাচ ভেঙে গেছে।

প্ল্যান্টের ধ্বংসস্তূপ থেকে চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদৎ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখান থেকে চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর বিস্ফোরণ ঘটে যাওয়া বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে সীমা অক্সিজেন অক্সিকো প্ল্যান্টের দূরত্ব আধা কিলোমিটার। বিএম ডিপোতে দুর্ঘটনায় নিহত হন ৫১ জন। আহত হন প্রায় দুই শতাধিক।

সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ বলেন, ‘কদমরসুল এলাকার ব্যবসায়ী মৃত শফি আহমদের ছেলেরা সীমা অক্সিজেন অক্সিকো কারখানা পরিচালনা করেন। শফি আহমদের ছেলে পারভেজ উদ্দিন সান্টু এবং তার ভাই মামুন কারখানা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত