বিষ দি‌য়ে মাছ শিকার, হুমকির মুখে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:০৮ |  আপডেট  : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৯

সুন্দরবনের বন্ধ করা যাচ্ছে না আশপাশের নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার। ফলে সুন্দরবনের মৎস্যভান্ডার নদী-খাল ক্রমশ-ই মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। বিষ প্রয়োগ করায় শুধু মাছ-ই নয়, মারা যাচ্ছে অন্যান্য জলজ প্রাণীও। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে বনজ সম্পদসহ পরিবেশের ওপর।

এক শ্রেনীর অসাধু জেলেরা অবাধে বনের ভেতরের নদী খালে রিপকর্ড বিষ ঢেলে দিয়ে চিংড়ি মাছ নিধনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিষ ক্রিয়ায় আক্রšন্ত হয়ে অন্যান্য প্রজাতির মাছও সমূলে নিধন হচ্ছে। ফলে সুন্দরবনে আগের মতো চিংড়ি সহ অন্যান্য প্রজাতির মাছের দেখা মিলছে না। ব্যাবস্থা গ্রহন করা না গেলে হুমকির মধ্যে পড়বে মৎস্য সম্পদ।

অন্যদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে উপকূলীয় অ লের বাসিন্দাদের। এই অবস্থায় জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষায় দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র বাগেরহাট জেলার আহবায়ক সাংবাদিক নুর আলম শেখ বলেন, খালে/নদীতে বিষ দেওয়ায় শুধু মাছ নয়, পানি বিষাক্ত হয়ে অন্যান্য জলজ প্রাণীও মারা যাচ্ছে। বিষ দিয়ে মাছ শিকার করায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরায় শুধু সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না, এই বিষাক্ত পানি পান করে বাঘ, হরিণ, বানরসহ অন্য বন্য প্রাণীরাও মারাত্মক হুমকির মধ্যে রয়েছে। এতে উপকূলীয় এলাকায় মানুষের পানীয় জলের উৎসগুলোও বিষাক্ত হয়ে পড়ছে বলে জানান বাপার এই নেতা।

জেলেদের সুত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের ভেতরের অন্যান্য নদী খালে পাশ পারমিট ছাড়া অসাধু জেলেরা বিষ প্রয়োগ করে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার অব্যাহত রেখেছে।জেলেরা বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকেই সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ধরে আমাদের জীবিকা চলে। এই মাছ-ই আমাদের সব। কিন্তু কয়েক বছর ধরে বনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বেড়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত