বিমান বাহিনীকে উন্নত দেশের বাহিনীর মতো দেখতে চাই: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪:৫৬ | আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৫
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক ফাইটার প্লেন, এয়ার ডিফেন্স রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কেননা তাঁর সরকার চায় এটি একটি উন্নত দেশের বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই নতুন ঘাটি (উইং), ইউনিট এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান, এয়ার ডিফেন্স রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত করেছি।‘আমরা বিমান বাহিনীকে একটি উন্নত দেশের বাহিনীর মতো দেখতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ‘শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ ২০২১’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। তিনি আজ দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যশোরস্থ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে আমরা জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করে এর বাস্তবায়ন শুরু করি। বিমান বাহিনীকে একটি শক্তিশালী ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীতে সংযোজন করা হয়েছে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার, এয়ার ডিফেন্স রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র¿ এবং প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জাম। স্থাপন করা হয়েছে নতুন নতুন ঘাঁটি, ইউনিট এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ধরনের বিমান, রাডার ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রক্ষণাবেক্ষণ এবং ওভারহলিং-এর লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু এরোনটিক্যাল সেন্টার।
তিনি বলেন, এই সেন্টারের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী নিজস্ব প্রযুক্তি ও জনবলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বিমান ও হেলিকপ্টার ওভারহোলিং করছে। মহাকাশ গবেষণা, বিমান বাহিনীর উন্নয়ন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল সেক্টরকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন এন্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার মাধ্যমে আমাদের দেশেই একদিন বিমান ও হেলিকপ্টার তৈরি হবে, এ বিশ্বাস আমার আছে।
প্রধানমন্ত্রী পাসিং আউট ক্যাডেটদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ এবং ফ্লাইপাস্ট প্রত্যক্ষ করেন। তাঁকে কুচকাওয়াজ রাষ্ট্রীয় অভিবাদনও জানায়।
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এরআগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তিনি কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ক্যাডেটদের মাঝে সোর্ড অব অনার, বিমানবাহিনী প্রধান ট্রফি, কমানডেন্ট ট্রফি প্রদান করেন। একই সঙ্গে তিনি ফ্লাইং ব্যাজও প্রদান করেন ।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত