বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ, কনকনে ঠান্ডায় কাহিল দরিদ্র মানুষ 

  কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:০০ |  আপডেট  : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২১

কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা নদীর চরা লসহ বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষেরা তীব্র শীত ও কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা পড়েছে বিপাকে। ব্যাপক ভাবে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ। হঠাৎ করে গত সোমবার সন্ধা থেকে শীতের প্রকোপ দেখা দেয়। রাতে শির শির বাতাসের সাথে নেমে আসে কনকনে ঠান্ডা। মানুষের শরীর বরফ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। 

রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৮টা পর্যন্ত সূর্য ছিল কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা। সকালে রাস্তায় হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী ১৭টি চরা লের গ্রাম সহ সারা উপজেলার খেটে খাওয়া ছিন্নমুল ও দরিদ্র মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে শীত ও ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে। তীব্র শীত ও কনকনে ঠান্ডায় শ্বাস কষ্ট, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ডায়রিয়া সহ নানা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

শিশু ও বৃদ্ধরা শীত জনিত রোগে বেশি বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এছাড়াও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গরু, ছাগল, মহিষের গাঁয়ে চটের বস্তা ঝুলিয়ে দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে কৃষকরা। তীব্র ঠান্ডায় হাস, মুরগীর মড়ক দেখা দিয়েছে। তীব্র শীতে দরিদ্র মানুষেরা কাহিল হয়ে পরলেও সরকারী বা বে-সরকারি ভাবে দেয়া হয়নি শীত বস্ত্র। 

নাজিরদহ গ্রামের বিধবা নুর বানু ও জাহিমা বেওয়া আ লিক ভাষায় বলেন "হামাক একনা কম্বল-চাদর দিয়া ঠান্ডা থাকি বাঁচান বেহে, হামরা জারত মরি গেইনো বাহে, হামার খবর কায়ো নেয় না। একই সুরে এমন কথা বলেন এলাকার অনেক দরিদ্র মানুষ। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান গণের শপথ গ্রহণ না হওয়ায় তারা দরিদ্র ছিন্নমুল মানুষের তালিকা করে জমা দিতে পারেন নি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা তারিন বলেন দরিদ্র মানুষের জন্য কিছু কম্বল পেয়েছি, যা তালিকা তৈরি করে বিতরণ করা হবে, এছারও জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আরও কম্বল দেয়ার জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত