বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট
প্রকাশ: ১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:১০ | আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:১৩
২০১৮ সালের ৪ আগস্ট সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনার পাঁচ বছর পর ৯ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এর অভিযোগপত্রে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ ও মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেলকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিদের অনেকেই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।এতে বলা হয়, এ আসামিদের অপরাধের সত্যতা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুর এলাকার বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন মার্শা বার্নিকাট। নৈশভোজ শেষে রাত ১১টার দিকে ফেরার পথে সশস্ত্র একদল মোটরসাইকেল আরোহী রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা গাড়িবহরের দিকে এগোনোর সময় তাদের বাধা দেয়া হলে রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দলের দুই সদস্যকে ঘুষি মারে হামলাকারীরা। গাড়িবহর চলে যাওয়ার সময় দুটি গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন।
এই ঘটনায় করা মামলায় ২০২১ সালের মার্চে নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। তবে পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপক্ষ অধিকতর তদন্তের আবেদন করে। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগকারীসহ পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন আসামি হিসেবে বাদী বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তার নাম উল্লেখ করেননি। তাই প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করতে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।
মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ ও নাইমুল হাসান ছাড়া অভিযোগপত্রে ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, সাজু ইসলাম, রাজীবুল ইসলাম, শহিদুল আলম খান, সিয়াম ও অলি আহমেদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। অন্য আসামিরা জামিনে রয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে নাইমুল হাসান ঘটনার সময় মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি। আরেক আসামি মীর আমজাদ হোসেন ঘটনার বছর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শহীদুল আলম খান ছিলেন শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক।
২০২১ সালে দেয়া অভিযোগপত্রে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোজাহিদ আজমির নাম ছিল। তিনি ওই বছর (২০২১) মারা যান। আজমি ও নাম-ঠিকানা না পাওয়া অজ্ঞাতনামাদের অব্যাহতির অনুরোধ করা হয়েছে।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত