বাজেটে সাধারণ মানুষের উন্নয়নের কোনো জায়গা নেই: মির্জা ফখরুল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩ জুন ২০২১, ১৫:২১ |  আপডেট  : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮

নতুন বাজেটে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোনো জায়গা নেই দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, আজকে নতুন বাজেট দিতে যাচ্ছে। পত্র-পত্রিকায় পরিষ্কার যা দেখতে পাচ্ছি সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোনো জায়গা এই বাজেটে নেই।

তিনি বলেন, এই উন্নয়ন কার? যারা এই সরকারের মদদপুষ্ট, যারা সরকারের আশ্রয়ে রয়েছে, প্রশ্রয় পেয়েছে; তাদের বৃত্ত বৃদ্ধি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের এখানে কোনো স্থান নেই। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপি গঠিত কমিটি আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, আজকে বড় কথা বলছে। উন্নয়ন উন্নয়ন, কোন উন্নয়ন, কাদের উন্নয়ন, এই উন্নয়ন তো শুধু তাদের যারা দেশকে শাসন করছে, তাদের পকেট বোঝাই হচ্ছে, আর সাধারণ মানুষ গরিব থেকে গরিব হচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, একটা নতুন বাকশাল ভিন্ন আঙ্গিকে, একটা নতুন স্বৈরাচার, একটা নতুন কর্তৃত্ববাদী সরকার গত ১২/১৩ বছর ধরে আমাদের যে অর্জনগুলো ছিল তা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। এখানে আমাদের একটা কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী একটা রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরি করেছে। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, প্রশাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। অর্থনীতিকে পুরোপুরিভাবে পরনির্ভরশীল একটা অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আমরা পথ খুঁজছি। এ জাতি তৈরি হয়ে আছে, তারা মুক্তি চায়।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপি গঠিত জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী প্রমুখ।

বিএনপির ভাষ্যমতে, ১৯৭৮ সালের ৩ জুন প্রথম বহুদলীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেজন্য ’৭৮ সালের পর এই প্রথম দিবসটি উপলক্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপি গঠিত জাতীয় কমিটি ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করলো।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত