বাগেরহাটে সংখ্যালঘুর জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৪৬ | আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:২৫
বাগেরহাটের চিতলমারীতে গোপাল চন্দ্র বাইন (৭০) নামের সংখ্যালঘুর এক বৃদ্ধার জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনার পর থেকে ভূক্তভোগি গোপাল চন্দ্র বাইন বাগেরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরপর থেকে ওই জমি দখলের হামলার আশংকায় জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় দিনপর করছে সংখ্যালঘু ওই পরিবারটি।
ভূক্তোভোগি গোপাল চন্দ্র বাইন অভিযোগ করে বলেন, চিতলমারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের কুড়মুনি গ্রামে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৫৩ শতক জমি রয়েছে। যা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে সে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি তার ছোট ভাই গৌর চন্দ্র অবৈধ ভাবে গোপনে একই এলাকার দীন ইসলামের কাছে কবলা মূলে বিক্রি করে দেয়। আমাদের পত্রিক সম্পত্তি যখন ভাগাভাগি হয়, তখন আমি এই ৫৩ শতক জায়গা চিংড়ি ঘের হিসাবে ভোগ দখল করে আসচ্ছি। আর আমার ভাই গৌর সম পরিমান জায়গা বাড়ী থেকে পেয়ে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু প্রতিবেশি দীন ইসলামের কু-পরামর্শে আমার ভাই আমার জায়গা তার কাছে অবৈধ ভাবে বিক্রি করে। বিষয়টি জানান পর আমি উপজেলা ভূমি অফিসে গেলে দীন ইসলামের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে অফিসের লোকজন আমার সাথে র্দূব্যবহার করে অফিস থেকে বের করে দেয়। উপায় না আমি এলাকায় ফিরে আসতে থাকলে প্রতিপক্ষ দীন ইসলাম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার পথরোধ করে আমাকে জীবন নাশের হুমকিসহ এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এরপর থেকে আমি ন্যায় বিচারের আশায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মুন্সি জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে দেখছি গোপাল চন্দ্র এই জায়গা ভোগ দখল করে আসচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি সম্পূর্ণ বে-আইনি ভাবে তার ভাই এই জমিটি গোপনে বিক্রি করেছে। যেটি সম্পূর্ণ অবৈধ। কারন এই জায়গা গোপাল চন্দ্রে’র গৌর চন্দ্রের নয়। যেটি কৌশলে দীন ইসলাম কিনেছেন বলে দাবী করছেন। এরপর থেকে প্রভাবশালী দীন ইসলাম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ওই জায়গা দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। যে কোন মুহুর্তে এই জমি নিয়ে হামলা-মারপিটের ঘটনার আশংকা করছি।
স্থানীয় শিক্ষক অখিল রানা বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে গোপালকে দেখছি এই ঘের (জমি) ভোগ দখল করে আসছে। যতটুকু জানি এটা গোপালের সম্পত্তি।
এ বিষয়ে গোপাল চন্দ্রের ভাই গৌর চন্দ্র বলেন, বাপের সম্পত্তি যেখানেই রয়েছে, সেখানে আমার অংশ রয়েছে। তাই আমি আমার অংশ বিক্রি করেছি। এই জায়গার পরিবর্তে আমি বাড়ীর জায়গা ভোগ দখল করতাম। বাড়ীর জায়গা বিক্রি করতে পারিনি বলে আমি এই জায়গা বিক্রি করেছি।
এ বিষয়ে দীন ইসলাম বলেন, আমি কারও জায়গা জোর করে দখল করি নাই বা কাউকে জীবন নাশের হুমকীও দেয়নি। আমি তার ভাই এর কাছ থেকে নগদ জায়গা কিনেছি। এখানে তারা কি ভাবে জায়গা অদল-বদল করে ভোগ দখল করে আসচ্ছিলো। সেটা আমার দেখার বিষয় নয়।
চিতলমারী সহকারি ভূমি কমিশনার জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা বলেন, আমার অফিসে গোপাল চন্দ্রের সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলোমান রয়েছে। সে কারনে বিষয়টি এখন আদালতের মাধ্যমে নিস্পত্তি হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত