বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় আ.লীগ কর্মী নিহত, আটক ৬
 বাগেরহাট প্রতিনিধি
  বাগেরহাট প্রতিনিধি
                                    
                                    প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৪১ | আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৪
 
                                        
                                    বাগেরহাটের রামপালে স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ফিরোজ ঢালী (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রামপাল উপজেলার কাদিরখোলা এলাকায় স্থানীয় বেলাল ব্যাপারি ও তার লোকেরা ফিরোজের উপর এই হামলা করেন। এসময় ফিরোজের সাথে থাকা আরও তিনজন আহত হয়েছেন। পরে আহত অবস্থায় ফিরোজকে প্রথমে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে ফিরোজ মারা যায়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে হামলায় নিহতের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ফিরোজ ঢালী রামপাল উপজেলার কাস্টোবাড়িয়া এলাকার মৃত আশ্বাদ আলীর ছেলে। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। আহতরা হলেন, কাদিরখোলা এলাকার আওরঙ্গজেব (৪২), হানিফ (৩৮) আকরাম ঢালী (৪৭)। নিহত ও আহতরা সবাই রামপাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রামপাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামুর অনুসারী।
রামপাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রামপাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামু বলেন, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আমাকে (জামু) বাড়ীর গেটে নামিয়ে দিয়ে ফিরোজ ঢালীসহ চারজন দুটি মোটর সাইকেল যোগে কাদিরখোলা এলাকায় ফিরোজ বাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। কিছুদূর যাওয়ার পরে বেল্লাল ব্যাপারী, বেলালের ভাই বাকি ডাকাতসহ ৩০-৪০ জন ফিরোজদের মটর সাইকেলের গতিরোধ করে। অতর্কিত মারপিট শুরু করে। অতর্কিত মারপিটে এদের জ্ঞান হারালে হামলাকারীরা রাস্তার উপর ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে উদ্ধার করে প্রথমে রামপাল ঝনঝনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় ফিরোজ ও হানিফকে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে ফিরোজ ঢালী মারা যায়। অপর আহতদের মধ্যে হানিফকে হাত ও পা ভাঙ্গা অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা রামাপাল চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হামলার অভিযোগ অভিযুক্ত বেলাল ব্যাপারি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার অপরাধে জামুর লোকেরা আমাদের উপর হামলা করেছে। সেই জেরে আমার লোকেরা ফিরোজের উপর হামলা করে। তবে মারা গেছে কিনা আমি জানিনা।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন জানান, স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬জনকে আটক করেছি। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত
 
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
            