বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ রুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভীড়, মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

  শফিক স্বপন, মাদারীপুর

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২১, ২১:২২ |  আপডেট  : ৬ মে ২০২৪, ১৪:০২

মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। বুধবার সকাল থেকে এই নৌপথে আসা বেশির ভাগ যাত্রই ঢাকামুখী। এদিকে ফেরি পারাপারে যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় মানা হচ্ছে না কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি। যাত্রীরাও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পারাপার হচ্ছে। ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্র জানায়, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের যোগাযোগের জন্য অন্যতম এই নৌপথে ১৮টি ফেরি চলাচল করলেও সারাদেশে বিধিনিষেধ চলমান থাকায় সীমিত করা হয় ফেরি চলাচল। দুসপ্তাহের কঠোর লকডাউনে ১৩দিন ৭ থেকে ৮টি ফেরি ছাড়া হলেও ১৪তম দিনে ঢাকামুখী যাত্রী ও গরুবোঝাই ট্রাকসহ যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ১২টি ফেরি চালু রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যাত্রীর চাপ কিছুটা বাড়লেও বেশি বেড়েছে গরুবোঝাই ট্রাকের চাপ। কোরবানির পশু নিয়ে ব্যবসায়ীরা ছুটছেন ঢাকার দিকে। ঢাকায় পশুর চাহিদা বেশি থাকায় গত দুদিন ঘরে গরুবোঝাই ট্রাকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই ফেরি সংখ্যা আমাদের বাড়ানো হয়েছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত গরুবোঝাই ট্রাক, পন্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মিলিয়ে ১২০টির মত ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় আছে। এ ছাড়া ঘাটে কোন ছোট গাড়ির চাপ নেই। অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও কাচামালের গাড়িগুলো সবার আগে ফেরিতে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

বরিশাল থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী সাজু আহমেদ বলেন, ‘কাল (বৃহস্পতিবার) থেকে মার্কেট খুলবে। ঈদের বেচাকেনা চাপ বাড়বে। মালিকে ফোন দিছে তাই ঢাকায় যাইতাছি।’

ঢাকাগামী আরেক যাত্রী সরোয়ার বলেন, ‘রাস্তা বাস না চলায় আমাদের ছোট গাড়ির বেশি বেশি ভাড়া দিয়া ঘাটে আসতে হইছে। ঢাকা থেকে বরিশাল আসার সময় পথে পুলিশে ধরলেও আজ ঢাকায় যাইতে পুলিশের কোন বাঁধায় পড়তে হয় নাই। কিন্তু বড় গাড়ি না চলায় ভাড়া তো আমাগো বেশিই দেওয়া লাগলো। এইডা কেউ বুঝলো না।’

বুধবার বিকেল ৫টায় বাংলাবাজার ফেরিঘাটে দায়িত্বরত চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবদুল রাজ্জাক জানান, ‘নৌপথে ১২টি ফেরি ছাড়া অন্য কোন নৌযান চলছে না। ১২টি ফেরি চলমান থাকায় যাত্রী ও যানবাহন পদ্মা পারাপারে কোন প্রকার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না। যাত্রীরা ঘাটে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেরিতে উঠতে পারছে। ট্রাকগুলোও ধীরে ধীরে ফেরিতে পারাপার হচ্ছে। দুর্ভোগ নেই ঘাটে।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত