বাংলাদেশে ৫ বছরে দ্বিগুণ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী আইএফসি

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২২, ১২:৩৩ |  আপডেট  : ১ মে ২০২৪, ০৫:১৬

দক্ষিণ এশিয়ায় নিযুক্ত ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) আঞ্চলিক পরিচালক হেক্টর গোমেজ আং বলেছেন, তাদের লক্ষ্য কর্মসংস্থানের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করা।

২০১০ সাল থেকে আইএফসি বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। আগামী ৫ বছরে সংস্থাটি বিভিন্ন খাতে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এর মধ্যে রয়েছে হালকা প্রকৌশল, অর্থনৈতিক অঞ্চল, আর্থিক ও পুঁজিবাজার এবং প্রবৃদ্ধি-সক্ষম টেকসই অবকাঠামো।

বাংলাদেশে ৫ দিনের সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গোমেজ আং আরও বলেন, বাংলাদেশের টেকসই পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করা এবং সবুজ প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে নতুন এই বিনিয়োগ করা হবে।

সফরকালে তিনি ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, চিন্তাবিদ, সম্ভাব্য নতুন গ্রাহক এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করেন। গোমেজ আং এর সঙ্গে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের জন্য আইএফসির নবনিযুক্ত কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হল্টমান এবং আইএফসির ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

জ্বালানি ও জ্বালানি সঞ্চালন এবং করোনা পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নীত করতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও সাশ্রয়ী আবাসন আইএফসির বিনিয়োগের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছেন আং।

তিনি বলেন, 'আইএফসি জ্বালানি বৈচিত্র্য উৎসাহিত করে এবং ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ২০ শতাংশের বেশি বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়তা করেছে। আমরা জ্বালানির মিশ্রণ এবং সঞ্চালনের ক্ষেত্রে আরও কাজ করতে চাই এবং স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক অঞ্চল, সবুজ, সাশ্রয়ী আবাসনে নতুন সুযোগ অনুসন্ধান করতে চাই।'

তিনি আরও বলেন, 'একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বাসযোগ্য ঢাকা দিয়ে শুরু হবে। আমরা সাশ্রয়ী আবাসন খাত উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।'

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকের পর দেওয়া বক্তব্যে গোমেজ আং বাংলাদেশকে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সহায়তা করতে আরও বেশি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, 'স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। সুতরাং টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের উত্তরণের জন্য সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এবং বাইরের বাণিজ্যিক ঋণের দিকে নজর দেওয়া অপরিহার্য।'

'বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা খুবই আশাব্যঞ্জক হয়েছে এবং আমরা ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার জন্য উন্মুখ,' বলে যোগ করেন তিনি।

মার্টিন হল্টমান বলেন, 'আইএফসি এ দেশের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে। মহামারির প্রথম ১৮ মাসে আমরা ব্যবসায় সহায়তা করতে এবং কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছি। এসব বিনিয়োগ ব্যবসা সচল রাখতে, রপ্তানি পুনরায় শুরু করতে এবং কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে৷ আমরা চলতি অর্থবছরের মধ্যে আরও ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।'

আইএফসি বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। এ বছর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপন করছে।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত