বগুড়ায় এসপির নামে দুই কোটি টাকা চাঁদা বাজী দুই দারোগার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

  বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২১, ২১:৪৭ |  আপডেট  : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭

বগুড়ায় ব্যবসায়ী মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাব ইন্সপেক্টর শওকত হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই অভিযোগে শনিবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিনকে রাজশাহী রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রোববার বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, প্রাথমিক অভিযোগের পর তাদের মধ্যে একজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও আরেকজনকে রাজশাহী পুলিশ রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় আসলে দোষ থাকলে পুলিশের কোনো ঘটনা নয়, ব্যক্তির দায় হতে পারে। আর কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ বাহিনী নিবে না।

এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরীকে অনুসন্ধান কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তবে এই কমিটির প্রতিবেদন এখনো জমা দেওয়া হয়নি।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ২৭ মে বগুড়া সদর উপজেলার শিকারপুর এলাকায় মাস্টার বিড়ির ফ্যাক্টরিতে যান অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা। তারা অভিযোগ তোলেন এই ফ্যাক্টরিতে জাল ব্যান্ডরোল মজুদ রয়েছে। এমন অভিযোগে তারা ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছে দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে বিষয়টি ২৫ লাখ টাকা রফাদফা হয়। ওই রাতে নগদ দেওয়া হয় ৯ লাখ টাকা। বাকী টাকার জন্য সময় চান বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক। এই টাকার জন্য চাপ দিলে এক সময় জেলা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী। এরপর সমীকরণ পাল্টে যায়। আগে নেওয়া ৯ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। এরপর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা ইমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, ‘এই ঘটনা অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে। এটি নিয়ে এখন মন্তব্য করার কিছু নেই।’

অভিযোগের সতত্যা পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাকরিবিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখনো অনুসন্ধানের পর্যায়ে। এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। অনুসন্ধান শেষ হলে বিস্তারিত জানানো যাবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত