ফ্রি কিকে ম্যারাডোনার গোলের রেকর্ড ডাকছে মেসিকে

বাঁ পায়ের বাঁকানো ফ্রি-কিক। বল ডান দিকে বাঁক নেওয়ার সঙ্গে গোলকিপারও শূন্যে লাফালেন। ডান দিকে শরীর বাঁকিয়ে বলটা থামানোর চেষ্টা করলেন।

কিন্তু ওই চেষ্টা পর্যন্তই—যেন মাপজোখ আগেই করা ছিল! গোলকিপারের হাত ও ক্রসবারের মাঝে ফাঁকা জায়গাটুকু গলে বল আশ্রয় নিল জালে।

অসাধারণ দৃশ্য তো বটেই, কিন্তু এই অসাধারণ দৃশ্যই মাঠে যখন কেউ বারবার করেন, তখন কী সেটি স্বাভাবিক হয়ে যায় না?

যেমন ধরুন লিওনেল মেসি—কোপা আমেরিকায় কাল চিলির বিপক্ষে ফ্রি-কিক থেকে এমন ছবির মতো সুন্দর একটি গোল করেন আর্জেন্টাইন তারকা।

ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিততে পারেনি, ড্র করে ১-১ গোলে, কিন্তু আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ভাগাভাগি ছাপিয়ে আলোচনায় মেসির এই ফ্রি-কিক থেকে করা গোল। আর সেই আলোচনায় উঠে এসেছেন মেসির পূর্বসূরি ডিয়েগো ম্যারাডোনাও।

ক্যারিয়ারে দুজনেই এমন শটে গোল করতে কিংবদন্তির মর্যাদা পেয়েছেন। এখন মেসির সামনে তাঁর পূর্বসূরিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি।
বিজ্ঞাপন

ম্যাচের প্রথমার্ধে ফ্রি-কিক থেকে গোলটি করেন মেসি। তাঁর ক্যারিয়ারে সরাসরি ফ্রি কিক থেকে এটি ছিল ৫৭তম গোল। ম্যারাডোনা তাঁর ক্যারিয়ারে সরাসরি ফ্রি কিক থেকে ৬২ গোল করেছেন।

মেসির এই ৫৭ ফ্রি-কিক গোলের মধ্যে ৫০টি এসেছে বার্সেলোনার জার্সিতে। বাকি ৭ গোল আর্জেন্টিনার হয়ে। মেসির ক্যারিয়ারে করা ৭৪৫ গোলের মধ্যে ৭.৬ শতাংশ এসেছে সরাসরি ফ্রি কিক থেকে।

ম্যারাডোনা তাঁর ক্যারিয়ারে ৩৫৩ গোলের মধ্যে ১৭ শতাংশ করেছেন সরাসরি ফ্রি কিক থেকে।

ফ্রি-কিকের কথা যেহেতু উঠলই, ক্যারিয়ারে সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে সর্বোচ্চ গোল করা কয়েকজনের নাম জেনে নেওয়া যাক।

ভাস্কো দ্য গামা ও লিওঁ-তে খেলা ব্রাজিলের সাবেক মিডফিল্ডার জুনিনহো পেরনামবুকানোকে বলা হয় ফ্রি-কিকের শিল্পী—ক্যারিয়ারে তিনি সর্বোচ্চ ৭৭ গোল করেছেন এখান থেকে। ৭০ গোল করে তাঁর পরই রয়েছেন তিনবার বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে।

সমান ৬৬ গোল নিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় আর্জেন্টিনার জিমন্যাস্টিকস অব মেন্দোজা কিংবদন্তি ভিক্টর লেগরোতাগলি ও ব্রাজিল কিংবদন্তি রোনালদিনিও। ৬৫ গোল করে চারে ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক মিডফিল্ডার ডেভিড বেকহাম।