ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটি দুইভাগে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:১৬ | আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:১৫
মহান মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির দুই ভাগে বিভক্তির মাধ্যমে ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক অরুন মন্ডল এর নেতৃত্বে জেলা কমিটির সিংহভাগ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত হয়ে ভাষা শহীদ দের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন। এ সময় সাধারন সম্পাদক অরুন মন্ডল, সহ-সভাপতি সুকেশ সাহা, ড: প্রকাশ স্বরুপ রায় অপু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক গৌতম ভদ্র, সমাজ কল্যান সম্পাদক দেবাসিষ সরকার বাবু, সহ-সমাজ কল্যান সম্পাদক নিতাই সাহা, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি কিংকর মিত্র, সাধারন সম্পাদক চিরঞ্জিব রায়, সুশান্ত সাহা, শ্যামল সাহা, বাবু সাহা, শহর কমিটি সাধারন সম্পাদক শ্যামল কর্মকার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিকাশ দত্ত, সদস্য অপু কমিশনার সহ জেলা, উপজেলা, শহর কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে ভাষা শহীদ দের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন।
অপর দিকে সভাপতি ফরিদপুরে উপস্থিত না থাকায় তার পক্ষে ৩থেকে ৪ জন ব্যক্তিকে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করতে দেখা যায়। তবে কিছু দিন পূর্বে গুনজন উঠেছিল জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কতৃক জেলার সাধারণ সম্পাদক অরুন মন্ডলকে অব্যহতি প্রদান করে। এ বিষয়ে সাধারন সম্পাদক অরুন মন্ডল অভিযোগ করে জানান, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন উদ্দেশ্যেই দীর্ঘ দিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সভাপতির একজন ডক্টরেট ডিগ্রি ধারী হওয়া স্বত্বেও কতিপয় লোকের কান কথায় তথাকথিত ১০ থেকে ১৫ জন সদস্যদের নিয়ে জুম মিটিং এর মাধ্যমে গত ৬ নভেম্বর ২০২১ তারিখে আমাকে অব্যহতি প্রদান করার মত জঘন্যতম সিন্ধান্ত গ্রহন করেন। যা বাংলাদেশ পুজা উদযাপন কমিটির গঠন তন্ত্র বিরোধী। বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ এর গঠনতন্ত্রের ১২(ছ) ধারা অনুযায়ী কমিটির যে কোন সভা এক তৃতীয়াংশ (১/৩) নির্বাহী সদস্যদের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ন করে সভা পরিচালনাসহ সংগঠনের জরুরী কোন সিন্ধান্ত নিতে হলে স্পষ্ট এজেন্ডা উল্লেখ পুর্বক সদস্যদের অবহিত করার মাধ্যমে সভা পরিচালোন করতে হয়। সে মোতাবেক জেলা শাখার ২৭ জন নির্বাহী সদস্যদের নিয়ে কোরাম পূর্ন করে সভা পরিচালনা করার কথা থাকলেও ১০/১৫ জন সদস্যদের নিয়ে একতরফা ভাবে জুম মিটিং এর মাধ্যমে আমাকে অব্যহতি প্রদান করে। এমনকি উক্ত অব্যহতিপত্র কেন্দ্র থেকেও অনুমোদিত হয়নি।
এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ পূজা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের অবহিত করেছি। অরুন মন্ডল বিষয়টি একটি হাস্যকর এবং বিভ্রান্তিমুলক অভিহিত করে জানান উল্লেখিত বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দর কাছে বর্তমান সভাপতি ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করি। তার মত ব্যাক্তি সামাজিক কোন সংগঠনের নেতৃত্বে থাকলে সেই সংগঠনকে স্বাভাবিক ভাবে এগিয়ে নেওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। তিনি অভিযোগে জানান কমিটির সভাপতি অধিকাংশ সময় ঢাকায় বসবাস করায় সংগঠনকে শক্তিশালি ও বেগবান করার জন্য কোন ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারেনি। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে এমন কোন রেকর্ড নাই যে কোন সংগঠনের সভাপতি ঐ সংগঠনের সাধারন সম্পাদককে অব্যহতি প্রদান করতে পারে। অরুণ মন্ডল বলেন সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী সকলকে সাথে নিয়ে একসাথে চলা উচিত এই নিতিতে আমি বিশ্বাস করি। এই মনোভাব নিয়ে আমার কার্যকলাপ পরিচালোনা করে আসছি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত