ফরাসি বিপ্লব স্মরণে ফ্রান্সে বাস্তিল দিবস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৫:১০ |  আপডেট  : ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৫৩

ফরাসি বিপ্লব হলো ইউরোপ এবং পশ্চিমা সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই বিপ্লবের সময় ফ্রান্সে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে গিয়ে প্রজাতান্ত্রিক আদর্শের অগ্রযাত্রা শুরু হয় এবং তারই সাথে দেশটির রোমান ক্যাথলিক চার্চ নিজেদের সকল গোঁড়ামী ত্যাগ করে নিজেকে পুনর্গঠন করতে বাধ্য হয়। এই বিপ্লবকে পশ্চিমা গণতন্ত্রের ইতিহাসের একটি জটিল সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যার মাধ্যমে পশ্চিমা সভ্যতা নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র ও অভিজাততন্ত্র থেকে নাগরিকত্বের যুগে পদার্পণ করে। ঐতিহাসিকরা এই বিপ্লবকে মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করেন।

ফরাসি বিপ্লবের মূলনীতি ছিল: "Liberté, égalité, fraternité, ou la mort!" অর্থাৎ "স্বাধীনতা, সাম্য ও মৈত্রী"। এ শ্লোগানটি বিপ্লবের চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছিলো, যার মাধ্যমে সামরিক ও অহিংস উভয়বিধ পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে গোটা পশ্চিমাবিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এ শ্লোগানটি তখন সকল কর্মীর প্রাণের কথায় পরিণত হয়েছিল।

প্রতি বছর ১৪ই জুলাই উদ্‌যাপন করা হয়। ফ্রান্সের সাধারণ মানুষের মুখের ভাষায় এটি ল্য ক্যাতৌযে জুইয়ে (le quatorze juillet) অর্থাৎ ১৪ই জুলাই নামে পরিচিত। এই উৎসবে ১৭৮৯ সালের ১৪ই জুলাই তারিখে ফ্রান্সের সাধারণ জনগণের বাস্তিল দুর্গ দখলের ঘটনাকে স্মরণ করা হয়। ঐ ঘটনাটিকে ফরাসি বিপ্লব ও আধুনিক ফ্রান্সের একটি প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতির সম্মুখে প্যারিসের শঁজেলিজে অ্যাভেনিউতে ১৪ই জুলাই সকালে উৎসব শুরু হয়। একোল পলিতেকনিক, একোল স্পেসিয়াল মিলিতের দ্য সাঁ-সির, একোল নাভাল, ইত্যাদি বিদ্যালয়ের ক্যাডেটদের কুচকাওয়াজ, সাধারণ সৈন্যদের কুচকাওয়াজ, সাঁজোয়া গাড়ির বহর, ইত্যাদি চলতে থাকে। উপরে আকাশে পাত্রুই দে ফ্রঁসের বিমানগুলি উড়ে যায়। সম্প্রতি ফ্রান্সের মিত্রদেশের সৈন্যরাও এই কুচকাওয়াজে অংশ নেবার আমন্ত্রণ পান।

এই দিন ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি সাধারণত দেশের অবস্থা সম্পর্কে একটি সাক্ষাৎকার দেন এবং ছোট অপরাধীদের ক্ষমা করে দেন।

 

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত