প্রায় একদিন পরেও চট্টগ্রামের চিনির কারখানায় আগুন জ্বলছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৯ |  আপডেট  : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৯

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে একটি চিনির কারখানায় আগুন জ্বলছে ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলা হলেও এখনও জ্বলছে আগুন। পাশাপাশি এখন মিলের ভেতর থেকে এক ধরনের শব্দ আসছে।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিট) মিলের ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের ১৬ ইউনিট, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা আগুন নির্বাপণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সোমবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর (চট্টগ্রাম) উপপরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন, অপরিশোধিত চিনিগুলো দাহ্য পদার্থ হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। অন্য গোডাউনগুলোতে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে সেটি নিয়ে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।

এদিকে, কর্ণফুলীর ইছানগরের চিনির কারখানাটি পরিদর্শনে গেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর তদন্ত সাপেক্ষে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, সোমবার রাত ৯টার দিকে বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে সাত সদস্যে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানান তারা। তারা সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ওই কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ওই মিলের কর্মকর্তারা বলছেন, চিনির মিলের ছয়টি গোডাউনের মধ্যে একটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে আমদানি করা এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি রাখা ছিল। মিলটির গোডাউনে রাখা অপরিশোধিত চিনি আগুনের পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। 

আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে থেকে কিছু না জানালেও বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে মিলের কর্মচারীরা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, অগ্নিকাণ্ডের পরপরই প্রথমে আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চিনি কারখানার গোডাউন। 

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত জানান, চিনি কারখানার আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০০ সদস্য, নৌ বাহিনীর ১২ সদস্যের দুইটি টিম, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য সহযোগিতা করছেন।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত