‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রেন্স’ দিবসে বক্তারা

‘প্রাণহানির সংখ্যা কমাতে হলে সড়ককে নিরাপদ করতে হবে’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৫৩ |  আপডেট  : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

সড়কে প্রাণহানির সংখ্যা কমাতে হলে সড়ককে নিরাপদ করতে হবে। এ জন্য জাতিসংঘ নির্ধারিত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে নতুন করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। রোববার ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমবারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিকটিমস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। 

রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের উদ্যোগে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এই সেমিনার র্যালির আয়োজন করে। 

রোডক্র্যাশে হতাহতদের স্মরণে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিকটিমস’ পালন করা হয়। 

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো—‘আমরা স্মরণ করি যারা রোডক্র্যাশে মারা গেছেন তাদের, সহায়তা নিয়ে থাকতে চাই আহতদের পাশে এবং জীবন বাঁচাতে নিতে চাই কার্যকর উদ্যোগ’। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার সকালে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান—নিটোরের সামনে থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে নিটোরের মিলনায়তনে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি ও সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। 

তিনি বলেন, আমাদের সড়কগুলোতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যে যেভাবে পারছে সড়ক ব্যবহার করছে। ফলে দেশে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং আইন মানার সদিচ্ছা থাকতে হবে। 

নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী শামীম উজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব এবং নিটোরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)। 

তিনি বলেন, আমাদের দেশে সড়কে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। যাই হোক না কেন সড়কে প্রাণহানি ঘটছে এটা সত্য। অথচ এটা প্রতিরোধযোগ্য। তাই উন্নত দেশের মতো জাতিসংঘ স্বীকৃত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে সড়ক নিরাপত্তা আইন করা প্রয়োজন। 

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের ইন-কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম বলেন, কোনো সমস্যার প্রকৃত সমাধান করতে হলে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে। সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হলে প্রথমেই সড়কে প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা উদ্ঘাটন করে এর সমাধান করা উচিত। এ ছাড়া বিদ্যমান সড়ক পরিবহণ আইন ও বিধিমালায় সড়ককে নিরাপদ করার বিষয়কে তেমনভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই সড়ককে নিরাপদ করতে আলাদা করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা জরুরি। 

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোনায়েম হোসেন ও সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম। সেমিনারে বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রোড সেফটি কোয়ালিশনের সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত