প্রতারণার নতুন কৌশল
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৩৫ | আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫২
সময়ের বিবর্তনে প্রতারকরা তাদের প্রতারণার কৌশল পরিবর্তন করেছে। শুক্রবার সকালে ফকিরহাট উপজেলার একটি বাজারে অভিনব কায়দায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ব্যবাসায়ীর নিকট থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ২ কেজি গরুর কলিজা নিয়ে চম্পট দেয় এক প্রতারক।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, শুক্রবার সকালে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া এন এম মাদ্রাসায় গিয়ে হাজির হন। সেখানে গিয়ে শিক্ষককে জানানো হয়, মাদ্রাসায় মিলাদ দেওয়া হবে। বাজার করার জন্য এখান থেকে তার কয়েকজন প্রয়োজন। কথার ওপর বিশ্বাস রেখে মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির সাথে বাজারে পাঠিয়ে দেন।
প্রতারক বাহিরদিয়া বাজারের গরু মংস বিক্রেতা বাবু শেখের দোকানে গিয়ে বলেন, ৬০ কেজি মাংসের প্রয়োজন তার। মাংস প্রস্তুত করার সময় প্রতারক বিক্রেতাকে বলেন, মুরগী কেনার জন্য তার ১০ হাজার টাকার প্রয়োজন। বিকাশ থেকে টাকা উঠিয়ে সব পরিশোধ করে দেওয়া হবে। এ কথা বলে মাদ্রাসা শিক্ষক মিজানুর রহমানকে নিয়ে পাশ্ববর্তী বাজারে মুরগীর দোকানে যান। সেখানে গিয়ে শিক্ষককে মুরগী ওজন করতে বলেন। শিক্ষককে জানান, বিকাশ থেকে টাকা উত্তোলন করতে যাচ্ছি। এ কথা বলে তিনি চম্পট দেন। পরবর্তীতে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ফজরের নামাজের পরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মাদরাসায় আসেন। নিজেকে ইটালি প্রবাসী দাবি করে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের খাওয়ানোর কথা বলেন। এ জন্য বাজার করার জন্য কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দরকার। এরপর ওই ব্যক্তির কথায় বিশ্বাস করে তার সাথে ফকিরহাট উপজেলা সদরের বাবু শেখের মাংসের দোকানে আসি। ওই দোকান থেকে ১০ হাজার টাকা ও দুই কেজি মাংস নিয়ে চলে যায় ওই ব্যক্তি। এরপর আর তাকে পাওয়া যায়নি। আমি তার নামও জানি না, ফোন নাম্বারও আমার কাছে নেই। শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসে একটা বিপদে পড়েছি।মাংস বিক্রেতা বাবু ঘটনাটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছেন।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মু. আলীমুজ্জামান বলেন, একটা ঘটনা শুনেছি। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত