পাটুরিয়ায় ফেরি বন্ধ, ঘরমুখী যাত্রীদের চাপও কম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৯ মে ২০২১, ১২:০৪ |  আপডেট  : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৩২

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে আজ রোববার সকাল থেকে সাধারণ পরিবহনবাহী ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখী যাত্রীদের চাপও কম দেখা গেছে। তবে দুটি ফেরি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পণ্যবাহী যান পারাপার করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশে ফেরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাটে আসা যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। শৌচাগার ও খাবার হোটেলের অভাবে নারী ও শিশু যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে বেশি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে গত শুক্রবার থেকে এই নৌপথে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এতে বাধ্য হয়ে গতকাল শনিবার দুপুরের পর থেকে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার করতে হয়। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এসব যাত্রী ফেরিতে গাদাগাদি করে উঠে পড়ে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ কারণে সন্ধ্যায় ফেরি চলাচল আবার বন্ধ রাখা হয়।

আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়ার তিন নম্বর ফেরিঘাটে শতাধিক যাত্রী নদী পারের জন্য ফেরির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। নয়টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ও অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ফেরি শাহ আলী পাটুরিয়ার তিন নম্বর ঘাটে ভেড়ে। আনলোড করার পরপরই যাত্রীরা ফেরিতে ওঠার চেষ্টা করেন। তবে ফেরিটি যাত্রী না উঠিয়ে চলে যায়। পাঁচ নম্বর ঘাটে পাঁচটি ফেরি নোঙর করা অবস্থায় আছে।

পাটুরিয়ায় যাত্রী পারাপারের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। ভোগান্তি এড়াতে যাত্রীদের পাটুরিয়ায় না আসার পরামর্শ দেন তিনি।

এদিকে মানিকগঞ্জে তিন প্লাটুন বিজিবির সদস্য মোতায়েন করা হলেও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত তাঁদের দেখা যায়নি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় তাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা যায়। তবে ঘাট এলাকায় শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবিরসহ পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

ওসি ফিরোজ কবির বলেন, সরকারের ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঘাট এলাকায় তাঁরা কাজ করছেন।

আরিচা ঘাটের চিত্র

আজ সকালে আরিচা ঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ একেবারেই কম ছিল। আরিচা-কাজীর হাট নৌপথে তিনটি ফেরি চলাচল করছে। এসব ফেরিতে শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে।

এই নৌপথে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রলারে করে যাত্রীদের কেউ কেউ নদী পার হচ্ছেন। আরিচা ঘাটের অদূরে নদীর চরে ট্রলার ভিড়িয়ে যাত্রীদের তোলা হয়।

সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, আরিচা চার নম্বর ঘাটের পশ্চিমে যমুনার চরে একটি ট্রলারে অর্ধশতাধিক যাত্রী তোলা হয়। তবে একটি স্পিডবোটে কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে ট্রলার থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন। ট্রলারের ইঞ্জিন চালু করার হাতল জব্দ করা হয়। পরে এসব যাত্রী বেগম রোকেয়া নামের একটি ফেরিতে গিয়ে ওঠেন।

ঘাটসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় কিছু দালালের সহযোগিতায় এসব ট্রলারে যাত্রী পারাপার করা হয়ে থাকে। প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত