পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন কাজী ফয়েজ ঈসা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:২১ |  আপডেট  : ১৮ মে ২০২৪, ০১:১৩

বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা রোববার পাকিস্তানের ২৯তম প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ইসলামাবাদের আইওয়ান-ই-সদরে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এ সময় তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার ও সেনাপ্রধান অসীম মুনিরও উপস্থিত ছিলেন। খবর ডনের।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি আয়েশা মালিক, বিচারপতি শহীদ ওয়াহেদ, বিচারপতি জামাল খান মান্দোখাইল, বিচারপতি আমিনুদ্দিন খান, বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ, বিচারপতি মাজাহির আলী আকবর নকভি, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মাজহার এবং বিচারপতি ইয়াহা আফ্রিদিকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।

প্রাক্তন সিজেপি ইফতিখার চৌধুরী এবং তাসাদ্দুক জিলানিও উপস্থিত ছিলেন।পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়, এরপর বিচারপতি ঈসার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পাঠ করা হয়। রাষ্ট্রপতি এরপর বিচারপতি ঈসাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এ সময় তার স্ত্রী সারিনা ইসা পাশে ছিলেন।


বিচারপতি ঈসা কে

১৯৫৯ সালের ২৬শে অক্টোবর কোয়েটায় জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা। তার পিতা প্রয়াত কাজী মোহাম্মদ ঈসা পাকিস্তান আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন এবং কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

বিচারপতি ঈসার বাবা ছিলেন প্রদেশের প্রথম ব্যক্তি যিনি বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর বেলুচিস্তানে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করতে ভূমিকা রেখেছিলেন। তার বাবা বেলুচিস্তান থেকে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির একমাত্র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

বিচারপতি ঈসার মা বেগম সাইদা ঈসা ছিলেন একজন সমাজকর্মী। তিনি শিক্ষা, শিশু ও মহিলা স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা হাসপাতাল এবং অন্যান্য দাতব্য সংস্থার বোর্ড প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন।

কোয়েটায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করার পর ঈসা করাচি গ্রামার স্কুল (কেজিএস) থেকে পাশ করে ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের জন্য করাচিতে চলে আসেন। এরপর তিনি লন্ডনে আইন পড়তে যান। লন্ডনের ইনস অব কোর্ট স্কুল ল থেকে বার প্রফেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

বিচারপতি ঈসা ৩০ জানুয়ারী, ১৯৮৫ সালে বেলুচিস্তান হাইকোর্টের একজন অ্যাডভোকেট এবং মার্চ ১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের একজন অ্যাডভোকেট হিসেবে নথিভুক্ত হন।

তিনি পাকিস্তানের হাইকোর্ট, ফেডারেল শরীয়ত আদালত এবং পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে ২৭ বছরের বেশি সময় আইন অনুশীলন করেছেন। তিনি বেলুচিস্তান হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, সিন্ধু হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন এবং পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য।

তিনি আন্তর্জাতিক সালিশও পরিচালনা করেছেন। এর আগে ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত