পলক ও এনটিএমসি এর নির্দেশে বন্ধ হয় ইন্টারনেট
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪, ১৪:৪৭ | আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) এর নির্দেশনায় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল। এমনকি দেশের ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের (আইএসপি) অবহিত না করেই আপস্ট্রিম ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) থেকে হঠাৎ ইন্টারনেট সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার ফলে সারাদেশে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট হয়ে যায়।
বুধবার (২১ আগস্ট) এসব তথ্য জানিয়েছেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমদাদুল হক।
তিনি বলেন, গত ১৮ জুলাই আমাদের অবহিত না করেই আপস্ট্রিম ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) থেকে হঠাৎ করেই ইন্টারনেট সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট বন্ধের সঠিক কারণ সম্পর্কে অন্তর্বর্তী সরকারের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা জানতে পারি যে, তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও এনটিএমসির নির্দেশে ইন্টারন্যাশনাল টেলিস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) থেকে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়।
এমদাদ আরও বলেন, আইটিসি ও বিএসসিসিএল হচ্ছে আইএসপি লেয়ারের ও একধাপ ওপরের লেয়ার (স্তর)। মানে আইআইজির ওপরের লেয়ার (স্তর)। সেদিন বিভিন্ন গণমাধ্যম ইন্টারনেট কেন বন্ধ হয়েছে, এ বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল। আমি সেদিন গণমাধ্যমে বলেছিলাম যে, আমাদের ব্যান্ডউইথ সাপ্লাই দিচ্ছে না আইআইজি, যার ফলে আমরা ইন্টারনেট সরবরাহ করতে পারছি না।
আমার বক্তব্য হয়ত কোনোভাবে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে কোথাও কোথাও। এজন্য সত্যিই আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখিত এবং এ ধরনের কার্যক্রম অনাকাঙ্ক্ষিত। প্রকৃত কারণ এরই মধ্যে সবার কাছে উন্মোচিত হয়েছে।
ইন্টারনেট বন্ধের ক্ষতিপূরণ চেয়ে তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট সেবা শাটডাউনের কারণে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আমি একজন ব্যবসায়ী ও ইন্টারনেটের সাধারণ গ্রাহক হিসেবে ক্ষতিপূরণ চাই।
ভবিষ্যতে কোনো সরকার যাতে আর এভাবে ইন্টারনেট শাটডাউন না করে সে দাবি জানিয়ে এমদাদুল হক বলেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধের কারণে দেশের সব সেক্টরে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বর্তমান ও পরবর্তী সব সরকারে কাছেই আবেদন কোনো অবস্থাতেই যেন ইন্টারনেট আর বন্ধ করা না হয়। বাকস্বাধীনতার অপর নাম হচ্ছে ইন্টারনেট। তাই কোনোভাবেই আমাদের বাকস্বাধীনতা বন্ধ হোক, সেটা চাই না।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত