মোটরসাইকেলের গতি ছিল ১০৫

পদ্মা সেতুতে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২২, ০৯:৫৩ |  আপডেট  : ১৪ মে ২০২৪, ১৫:৫৬

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুই যুবক মারা গেছেন। রোববার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেতুর ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুই যুবক হলেন- মো. আলমগীর হোসেন (২২) ও মো. ফজলু (২১)।  

তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বন্ধু জয়দেব জানান, তারা সবাই ঢাকার নবাবগঞ্জে থাকেন। মোটরসাইকেল মেকানিক আলমগীর নবাবগঞ্জের সমসাবাদ এলাকায় থাকেন আর বিদেশফেরত ফজলুও একই এলাকায় থাকেন।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ায় আজ তারা তিনটি মোটরসাইকেলে ছয় বন্ধু মিলে ঘুরতে যান। তারা দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে আগে চলে যান। আর তাদের পেছনের দিকের মোটরসাইকেলে ছিলেন ওই দুজন। কিছুক্ষণ পর তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পান। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোটরসাইকেল চালানোর সময় যে ভিডিও করা হয় তাতে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন আলমগীর, আর পেছনে বসে ভিডিও করছিলেন ফজলু। অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে সব গাড়িকে ওভারটেক করেন তারা। সেতুর ওপর ৬০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর নির্দেশনা থাকলেও তারা তা ভঙ্গ করে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। ধীরে ধীরে মোটরসাইকেলের গতি ৯০, ৯৫, ১০০ থেকে ১০৫ পর্যন্ত উঠতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর সেই গতি কমে নেমে আসে ৭০-এ। এরপরই হঠাৎ ডানে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের সামনে পড়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন চালক ও আরোহী। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

উদ্বোধনের একদিনের মাথায় সেতুটিতে প্রথম এ দুর্ঘটনা ঘটলো। রোববার ভোর থেকেই সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত