নতুন নতুন কৌশল ঘিরে অভিযান
পদ্মা নদীর বিস্তৃর্ন চরাঞ্চলের কাশবন ঘিরে ইলিশ শিকারীদের আস্তানা গেড়ে দৌরাত্ম
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২২, ১৮:৫৩ | আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:১০
প্রতিনিয়ত প্রশাসন নতুন নতুন কৌশলে অভিযান চালিয়ে ইলিশ শিকারীদের জেল-জরিমানা অস্থায়ী আস্তানা উচ্ছেদ করলেও থামেনি ইলিশ শিকারীদের দৌরাত্ম । শিফট ভিত্তিতে টহল থাকলেও নদী ও চরগুলোতে স্থায়ীভাবে আইন শৃক্সখলা বাহিনী বা ক্যাম্প না থাকায় মাদারীপুরের শিবচর, শরীয়তপুরের জাজিরা, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং, ঢাকার দোহার, ফরিদপুরের সদরপুর অংশের পদ্মা নদীতে ওৎ পেতে রয়েছে ইলিশ শিকারীরা। ইলিশ শিকারীরা পদ্মা নদীর বিস্তৃর্ন চরাঞ্চলের কাশবনগুলোকে বেছে নিয়েছে আশ্রয়স্থল হিসেবে। ক্রেতারা নানান উপায়ে পৌছাচ্ছেন প্রত্যন্ত এ এলাকাগুলোতে। নদী পাড়ে কাশবনে বসেছে অস্থায়ী বা তাবু টানিয়ে হাট বাজার আস্তানা আবাসস্থান।
মা ইলিশ সংরক্ষনে সরকারের নিধেধাজ্ঞাসহ বিশেষ অভিযান চলছে। ইলিশ নিধনে সরকারের নিষেধজ্ঞা বাস্তবায়নে অভিযানের শুরু থেকেই জেলার শিবচরের পদ্মা নদী ও সংলগ্ন চরগুলোতে প্রশাসনের ব্যাপক অভিযান চলছে। অভিযানে সংযুক্ত করা হয়েছে জনপ্রতিনিধিদের। অভিযান চালিয়ে কয়েকটি আস্তানার অর্ধ শত অস্থায়ী স্থাপনাও উচ্ছেদ করেছে। চলছে শিফট ভিত্তিক ডিউটি। এরইমাঝে সুযোগ পেয়েই জেলেরা নদীতে নেমে পড়ছে। মাদারীপুরের শিবচর, শরীয়তপুরের জাজিরা, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং, ঢাকার দোহার, ফরিদপুরের সদরপুরসহ পদ্মা নদীর বিস্তৃর্ন জলরাশি ও চরগুলোতে প্রশাসন চলে গেলেই শুরু হচ্ছে ইলিশ নিধনের মহোৎসব। ধরা পড়া মাছ গুলোর পেট ভরা ডিম। জাটকাও ধরা পড়ছে অৎব্র। ভাটি অ লে কোস্টগার্ড,নেভি ও নৌ পুলিশ নদীতে সার্বক্ষনিক থাকায় উজানের এ অ লের নদীতে এখন ইলিশের ছড়াছড়ি হওয়ায় জেলেরা নিধন যজ্ঞে নেমেছে। দূর চরের যে এলাকাগুলোতে সড়ক যোগাযোগ নেই সেখানেই বসছে বাজার । কাশবনগুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে জেলেদের আবাসস্থল ও আড়ৎ।
ইলিশ ধরার বিভিন্ন কৌশল স্বীকার করেন অসাধু জেলেরা স্থানীয়রা। এসময়কালে নদীতে স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে ক্রেতাদের শক্তহাতে প্রতিরোধ করা হোক এই অসাধু জেলেদের। ইলিশের উৎপাদন নিয়ে সম্ভাবনার কথা জানান মৎস্য কর্মকর্তা।
মাদারীপুর জেলা মৎস কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা বলেন, ইলিশ মওসুমে ডিম ফোটা থেকে শুরু করে বড় হওয়া পর্যন্ত নুন্যতম একটি মাছে এলক্ষ ডিম থাকে। সুতরাং আমাদেও যে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ এ কার্যক্রম যেকোন মুল্যে সকলে সম্মিলিতভাবে ইলিশ মাছ জাতীয় সম্পদ রক্ষা করতে হবে।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো: মাসুদ আলম বলেন, ইলিশ মাছ রক্ষায় মাদারীপুর পুলিশ প্রশাসন জেলা প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে। এ অভিযানে পুলিশ সব সময় সচেষ্ট থাকবে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, অইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষা করা রাষ্ট্রীয় দ্বায়িত্ব। যে ২৮ দিন মাছ ধরা বন্ধ এ ২৮ দিন যেন কোন জেলে নদীতে না নমে সে জন্য জেলেদের প্রতি আহবান জানানো হচ্ছে।
মা ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষনে সরকার ঘোষিত ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌশুমে নিধন বন্ধে সার্বক্ষনিক অভিযান ছাড়াও কোস্টগার্ড ও নেভি নদীতে ও চরে স্থায়ীভাবে নিয়োগের দাবী ইলিশ প্রিয় সাধারন মানুষের। চলতি অভিযানে জেলার শিবচরেই প্রায় ১ শ জেলেকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত