পঞ্চগড়ে শীতের উচ্চমাত্রার দাপট কমেছে

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা আগের চেয় অনেকটা কম। তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস মঙ্গলবার (৩০জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ জানুয়ারি। যা পাচঁ বছরের মধ্যে তেতুঁলিয়ায় সর্ব নিম্ন ও সারা দেশের মধ্যে এ বছরে সর্বনিম্ন।
 
তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস সোমবার ২৯ জানুয়ারি তাপমাত্রা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।তবে গত এক সপ্তাহ ধরে একডিজিটে রয়েছে তাপমাত্রা। ১০ নীচে এই তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। এছাড়া তিন দিন ধরে ঘন কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের দেখা মিলেছে সকালেই। রোদের তেমন উষ্ণতা না থাকলেও অনেকটাই কমেছে শীতের উচ্চমাত্রার দাপট।
 
এদিকে, ১০ ডিগ্রি নিচে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জেলার পাঁচ উপজেলারের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী পাঠদান মঙ্গলবার ও বুধবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ৭ ডিগ্রি নিচে নামলেও সূর্যের আলো দেখা মেলায় স্বাভাবিক রয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী পাঠদান ৷ প্রতিদিনের মতো যথারীতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন। এদিকে রাতে কনকনে শীত অনুভূত হলেও দিনের বেলা কিছুটা কম শীত অনুভূত হচ্ছে। কিছুটা কমেছে ঘন কুয়াশাও। তবে অব্যাহত রয়েছে হিমেল হাওয়া। অন্যদিকে সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে কাজের সন্ধানে বেরিয়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। 
 
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ বলেন, দুইদিন ধরে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে শীত পুরোপুরি কমেনি। এখনো মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। বলা যায় গত কয়েকদিনের চেয়ে শীত কিছুটা কমেছে। 
 
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন‘ সরকারি ভাবে ৩৩ হাজার পাঁচশত কম্বল পাওয়া গেছে। বিতলণও চলছে। তাছাড়া  সমন্বয় করে বেসরকারি ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত আছে। 

ই