লাল রঙে ভরে উঠেছে গ্রামের সুবজ বনানী দামে না পেয়ে কৃষক হতাশ

পঞ্চগড়ে মরিচের বাম্পার ফলন         

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ১৯:১৫ |  আপডেট  : ১২ মে ২০২৫, ১২:১৯

আদর্শ থেকে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা নিজ নিজ সামর্থ্য নিয়ে আবাদ করেছে মরিচের। নানা প্রতিকূলতার পরেও বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠপ্রান্তর ঘুরে দেখা যায় লাল রঙের মরিচে ভরে গেছে এলাকা। শহর থেকে পথ চলতেই গ্রামের মেঠো পথে দেখা মেলে এই শুকনো মরিচের ক্ষেত। কৃষণকৃষাণি রোদ্রের মধ্যে মরিচ তুলতে ব্যস্ত। তারা বেছে বেছে পাকা মরিচ তুলতে ব্যস্ত । তা শুকিয়ে বাজারজাত করবে। পাকাজাত কাচাঁমরিচ তুলে মাঠ-ঘাট বা বাড়ির আশপাশে ঘাসে বা বস্তা বিছিয়ে শুকনো কাজে ব্যস্ত। 

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোর,আলোয়াখোয়া, মির্জাপুর, মালগোবা,সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ী সহ সবর্ত্র কৃষকদের বাড়ির অনাচে কানাচে এই মরিচ শুকাতে ব্যস্ত সময় সময় পার করছে। শুধু এসব এলাকা নয় জেলার আনাচে-কানাচে এমন চিত্র দেখা গেছে।নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে কৃষকরা এই মরিচ বাইরে সরবরাহ করে থাকে।  দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়িরা এসে এই শুকনো মরিচ ক্রয় করেন। বাজারে এখন এই শুকনো মরিচ প্রচুর পরিমানে উঠলেও কৃষক তার আগের মতো দাম না পেয়ে হতাশ। শুরুতে প্রতিমন শুকনো মরিচ ছয় হাজার টাকা বিক্রি হলেও এখন তা বিক্যি হচ্ছে চা হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।মির্জাপুরের কৃষক আলম হোসেন জানান তিনি একম মন শুকনো মরিচ বিক্রি করেছেন চা হাজার সাতশত টাকা।জেলা কৃষি সম্প্রসারন সূত্রে জানা যায়, জেলায় গতবারের চেয়ে এবারে মরিচের আবাদ বেড়েছে। এবারে মরিচ আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমি। যা গতবার ছিল ৮৫ হাজার ৬৮৭ হেক্টর জমি।

এদিকে জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মুআল্লেম বেগম বলেন আমরা মাঠ ঘুরে দেখেছি অনেকে আগের মরিচ মজুদ করে রেখেছে। এছাড়া অবাদ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে।কারন আবাদের সাথে বাজার ব্যব¯া’পনার বিষয়টির গুরুত্ব থাকে। আমরা চেষ্টা করছি এজেলার মরিচ অন্য এলাকায় সরবরাহ বাড়নোর চেষ্টা করছি। যেনো কৃষক তার ন্যায্য মূল্য পায়।  
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত