পঞ্চগড়ে প্রেম ঘটিত জেরে তরুনীর আত্মহত্যা

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় প্রেমঘটিত ঘটনায় আতিকা আক্তার (১৫) নামের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার উপজেলার বোদা সদর ইউনিয়নের বেংহারি বালাভীড় পোড়াবাড়ী এলাকায়। আতিকা আক্তার ওই একই ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকার আমিনুল ইসলামের মেয়ে এবং বোদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী। আতিকা নানার বাড়ীতে থেকেই লেখা পড়া করতো। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রেম ঘটিত কারণে আতিকা আত্মহত্যা করেছে। বোদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রিজভী ইসলাম জানান, আতিকার নানী লাকী বেগম অসুস্থ হলে তার নানা আওলাদ হোসেন দুলাল মঙ্গলবার স্ত্রীকে নিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। দুলাল স্ত্রী নিয়ে হাসপাতালে অবস্থান করায় তার জামাই আমিনুল ইসলামকে মঙ্গলবার রাতে তার বাড়ীতে থাকার এনে রাখেন। পরে বাবা মেয়ে রাতের খাবার খেয়ে পৃথক ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার সকালে আমিনুল বাড়ি ফেরার সময় মেয়েকে ডাকাডাকি শুরু করেন। অনেক ডাকাডাকির পরেও তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে সে এলাকাবাসীদের ডাকেন তিনি। পরে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি ঘরের অন্য রুমের ছাদ ফাঁকা করে দেখতে পান আতিকা গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুঁলছে। পরে বোদা থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে আতিকার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজিম উদ্দীন জানান, ঝুলন্ত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকার আমিনুল ইসলামের মেয়ে এবং বোদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী। আতিকা নানার বাড়ীতে থেকেই লেখা পড়া করতো। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।