পঞ্চগড়ে আমদানী করা ফল আর ইলিশ খেতে পারছেনা নিম্নবিত্ত ও শ্রমজীবীরা

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু পঞ্চগড় প্রতিনিধি  

প্রকাশ: ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৪২ |  আপডেট  : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৪

পঞ্চগড় কদম তলায় ফলের বাজারে গিয়ে দেখা মেলে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকদের। নি¤œবিত্ত আর শ্রমজীবীরা নেই এ ফলের বাজারে। কথা হয় ষার্ষ্টোধ আছিয়া বেগমের নিচ্ছিলেন ফলাদি। আপা কি ফল নিচ্ছেন বলল হ্যাঁ। দাম কেমন বললেন খুব বেশি। আপেল এখন ৩৮০ টাকার কম দেয়না। আঙ্গুর ৪০০ শত টাকা। লাল আঙ্গুর ৫০০ ও কমলা ৩৮০ টাকা কেজি। উৎপাদিত বড় সাইজের পেয়ারা ৯০ টাকা কেজি। কি করবেন বাসায় নাতিপুতিরা আছে। তাই একটু মাঝে মধ্যে ফল নিতে আসি।

আপনি তো মনে হয় মোটামুটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। হ্যাঁ ভাই একটু জমি জায়গা আছে। আপনার ভাই একটি স্কুলে চাকরি করে।আপনি তো নিলেন গরীব মানুষ তো নিতে পারেনা। এমন কথায় তিনি বলেন ‘এটা কি সম্ভব বলেন। তারা দিনে কতো আয় করে ‘ ৫০০ টাকা না হয় ৭০০ টাকা। তাহলে তারা চাল ডাল কিনবে না’ ফল খাবে। এটা সরকারের দেখা উচিত।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত একবছর যাবত আপেল ,আঙ্গুর, আপেল, খেজুর সহ আমদানি করা সব ফলের দাম আকাশ ছোঁয়া। আপেল সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩০০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা কেজি। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা। কমলা চিল ৩২০ টাকা থেকে ২৮ টাক্ াসেই কমলা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

পঞ্চগড় শহরের মাছ বাজারে মাছ কিনতে আসা আবু বক্কর ছিদ্দিক ইলিশ মাছের দাম করছিলেন। এসময় তাকে বিমর্ষ দেখা যায়। জিজ্ঞেস করা হয় কি ভাই ‘ ইলিশ নিলেন । বললেন না ভাই ‘ এটা কি সম্ভব। জাটকা ইলিশ আজ ১০০০ হাজার টাকা কেজি। বড় ইলিশে তো হাত দেওয়া যায়না। মাছে বিক্রেতারা জানান, ইলিশের দাম এবারে বেশি। গরীব মানুষ তো দুরের কথা মধ্যবিত্ত আর নি¤œবিত্তরাই খেতে পারেনা। আমরা বেশি দামে কিনে আনি। আমাদের কি করার আছে।, 

পঞ্চগড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই-তিনটি মাচের দোকানে ইলশ বিক্রি হয়। মাঝারি সাইজের ইলিশ ১৭০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা কেজি। জাটকা ১০০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা কেজি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত