নির্বাচনে কোনো দল অংশ নেওয়া না নেওয়া তাদের ইচ্ছাধীন বিষয়: ইসি রাশিদা

নির্বাচনে কোনো দল অংশ নেওয়া না নেওয়া তাদের ইচ্ছাধীন বিষয় বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা কিন্তু চাই সব দিল মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, প্রতিনিধিত্বমূলক ইলেকশনটা হোক। এই চাওয়ার কমতি নাই।'

রোববার (২৮ আগস্ট) খুলনার দীঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন।এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কোনো দল নির্বাচনে আসা-না-আসা তাদের ইচ্ছাধীন ব্যাপার।’

এসময় তিনি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নিয়ে কথা বলেন। বলেন, এখন পর্যন্ত ইভিএমে কারচুপি হয় এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি। এটা কেবল কথার কথা।

রাশিদা সুলতানা বলেন, 'আমরা সুন্দর একটা ইলেকশন করতে পারব- এটা নিশ্চিত হওয়ার পরেই ইভিএমের সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেছি। যে কথাগুলো (অভিযোগ) আসছে এগুলো নিয়ে কেউ এ পর্যন্ত আমাদের সামনে কিন্তু আসেনি। ধরিয়ে দেওয়া যে, এইভাবে কারচুপিটা হচ্ছে। এইটা কিন্তু কথার কথা। কেউ কিন্তু প্রমাণ আমাদের কাছে দেয়নি।'

গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন নানা অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ইভিএম নিয়েও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি। সবশেষ গত জুলাইয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপেও ইভিএম প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দল ইভিএমের পক্ষে বললেও বেশিরভাগ দল ইভিএমে ভোটের বিপক্ষে মত দেয়।

এরমধ্যেই গত ২৩ আগস্ট আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনূর্ধ্ব ১৫০ আসনে ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হবে বলে ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রসঙ্গে রাশিদা সুলতানা বলেন, 'আপনারা শুনছেন যে, ইভিএম আমরা সর্বোচ্চ ১৫০টা (আসনে) ইউজ করব। হয়তো ১৫০টা নাও হতে পারে। আমদের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে। প্রক্রিওর করতে হবে। প্রক্রিওর যদি করতে না পারি, এক্সিসটিং যা আছে সেটার মধ্যেই হয়তো হবে।'

রাশিদা বলেন, 'আমরা কিন্তু মনে করছি এইরকম একটা পর্যায়ে (অনূর্ধ্ব ১৫০ আসন) করলে আসলে কোথায় কী মেকানিজমটা হচ্ছে, কেন এই (অভিযোগের) কথাগুলো আসতেছে সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে।'