নামিবিয়াকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে এক পা দিয়ে রাখলো নেদারল্যান্ডস
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৫৭ | আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:০২
ক্রিকেটের মাধুর্য তো এখানেই। এটাকে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা এমনি এমনি বলা হয় না। টুর্নামেন্ট ওপেনারে অঘটনের জন্ম দেওয়া নামিবিয়া নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আর বীরত্ব দেখাতে পারলো কই? বরং তাদের ৫ উইকেটে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে এক পা দিয়ে রাখলো নেদারল্যান্ডস।
অবশ্য শুরুতে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে খেলতে থাকা ডাচদের খেলায় হারের শঙ্কাও জাগে শেষ দিকে। ১২২ রানের লক্ষ্যে ১ উইকেটে ৯১ রান করা দলটি ১০২ রানেই হারায় ৫ উইকেট! মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলায় তাদের ওপর কঠিন চাপ তৈরিতে সক্ষম হয় নামিবিয়া। তখন ম্যাচের পরিস্থিতি পেন্ডুলাম। ধীরে ধীরে অবস্থা এমন দাঁড়ায় শেষ ৬ বলে প্রয়োজন পড়ে ৬ রানের। কঠিন সেই মুহূর্তে প্রথম বলেই চার মেরে চাপ কমাতে করতে অবদান রাখেন লিড। এক বল বিরতি গিয়ে তৃতীয় বলে দুই রান নিয়ে জয়ের উৎসবে মাতে ডাচ দল।
দুই দলই আজকে মাঠে নামে যার যার প্রথম ম্যাচ জিতে। টস জিতে নামিবিয়া ব্যাটিং নিয়েছে ঠিকই। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যাটে সেই বারুদ আজ দেখা যায়নি। পাওয়ার প্লেতে ৩৩ রানে হারায় ৩ উইকেট। এই সময় উল্লেখযোগ্য ২০ রান করেছেন ওপেনার মাইকেল ফন লিংগেন।
পরে তারা উইকেট ধরে রেখে খেললেও ধীর গতিতে উঠেছে রান। বার্ড আর ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক মিলে জুটি গড়ে এগিয়ে নিতে থাকেন তার পর। ৩১ রানের জুটি ভাঙে বার্ডের বিদায়ে। তার পর সবচেয়ে বড় জুটিটি গড়েন অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস ও ফ্রাইলিঙ্ক। গত ম্যাচে ঝড় তুলতে পারলেও এই ম্যাচে ফ্রাইলিঙ্কের ব্যাটে দেখা যায়নি তার বিন্দুমাত্র ঝলক। ১৮.২ ওভারে ১০৪ রানে ফিরেছেন। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা ফ্রাইলিঙ্ক খেলেছেন ৪৮ বল। তাতে ছিল মাত্র একটি চার ও একটি ছয়। দুই বল পর অধিনায়ক এরাসমাস ফিরলে শেষ দিকে স্কোর ৬ উইকেটে ১২১ রানে নিয়ে যেতে অবদান রাখেন ডেভিড উইজে ও জেজে স্মিট। উইজে ৫ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেনন আর স্মিট ৪ বলে ৫ রানে।
ডাচদের হয়ে ১৮ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন বাস ডি লিড। একটি করে নিয়েছেন টিম প্রিঙ্গল, কলিন অ্যাকারম্যান ও পল ফন মিকেরেন।
জবাবে ডাচদের শুরুটা ছিল আত্মবিশ্বাসী। দুই ওপেনার বিক্রম জিৎ সিং ও ম্যাক্স ডাউড মিলে ৮.২ ওভারে ৫৯ রান তুলেছেন। বিক্রমজিৎ ৩১ বলে ৩৯ রানে ফিরলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। তার আক্রমণাত্মক ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছয়।
তার পরেও সমস্যা ছিল না। আরেক ওপেনার ডাউড ও ডি লিড মিলে সামাল দেন পরিস্থিতির। তাদের জুটিতে ৩৩ রান যোগ হয়েছে। বিপদের শুরু ৯২ রানে ডাউড ফিরতেই। টম কুপার (৬), কলিন অ্যাকারম্যান (০) ও অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস (১) দ্রুত সময়ে ফিরলে ম্যাচ হেলে পড়ে নামিবিয়ার দিকে। কঠিন সেই মুহূর্ত সামাল দিতে অবদান রাখেন ডি লিড। ৩০ বলে দুই চারে ৩০ রানের ইনিংসে প্রান্ত আগলে খেলেছেন। তাছাড়া প্রিঙ্গল ৯ বলে ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
৫ উইকেট হারানো দলটির জয় নিশ্চিত হয়েছে ১৯.৩ ওভারে। লিড বল হাতেও দুই উইকেট নেওয়ায় ম্যাচসেরা হয়েছেন। নামিবিয়ার হয়ে ২৪ রানে দুটি উইকেট জেজে স্মিটের। একটি করে উইকেট নেন স্কল্টজ ও ফ্রাইলিঙ্ক।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত