নন্দীগ্রামে সড়কের দুই পাশে সারি সারি মরা গাছ যেনো এখন মরণফাঁদ

  নাজমুল হুদা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:১৮ |  আপডেট  : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৩৬

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ১নম্বর বুড়ইল ইউনিয়নের কদমকুড়ি হতে পোতা সড়কের দুই পাশে সারি সারি গাছের ফাঁকে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকশত মরা গাছ। এগুলো এখন যেনো পথচারী ও যানবাহনের জন্য মরণফাঁদ। দীর্ঘদিন পূর্বে থেকে গাছগুলো মরে শুকিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেটে অপসারণের উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝড় ও বৃষ্টির সময় এসব গাছের ডাল ভেঙে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই ওই সড়ক দিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করে থাকে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, কদমকুড়ি মোড় থেকে পোতা চারমাথা পর্যন্ত অন্তত অর্ধশতাধিক নিম ও শিশু গাছ পুরোপুরি মরে গেছে। কিছু গাছের ডাল ভেঙে রাস্তায় পড়ে আছে। আবার কিছু হেলে আছে সড়কের দিকে। এছাড়াও নন্দীগ্রাম পৌরসভা এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কেও একই চিত্র দেখা যায়। আর এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় পথচারী ও যানবাহন চলাচল করে। এলাকাবাসীর আতঙ্ক যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সকল সড়ক থেকে মরা গাছগুলো কেটে অপসারণ করা জরুরী। 

বাইকচালক পলাশ খান বলেন, আমি বাইক নিয়ে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে একটি মরা ডাল ভেঙে আমার কাঁধে পড়ে আর অল্পের জন্য চোখে লাগেনি। আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি। ভ্যানচালক মশিউর রহমান বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাত্রী ও মালামাল বহন করি। মরা গাছের অবস্থা ভয়াবহ। যদি দ্রুত কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেয় তাহলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইজিবাইক চালক মামুন হোসেন বলেন, ঝড় ও বৃষ্টির দিন তো বটেই, এখনো রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় লাগে। কখন যে গাছ ভেঙে মাথার ওপর পড়ে তা বলা মুশকিল। পোকা খেয়ে গাছগুলো একেবারেই শক্তি হারিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বন বিভাগের দায়িত্বশীলদের নজরদারির অভাবে শুধু মরা গাছই নয়, জীবিত গাছও এখন অসাধু ব্যক্তিরা কেটে বিক্রি করছে। দিনের আলোয় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের মোটা ডাল কাটার অভিযোগ উঠেছে। 

বন বিভাগ বগুড়ার সদর রেঞ্জ অফিসার দুলাল কুমার সাহা বলেন, বিভিন্ন সড়কে মরা গাছের বিষয়টি আমি শুনেছি। এখন মরা গাছ কাটার নির্দেশনা নেই। তবে নির্দেশনা পেলেই মরা গাছগুলো কাটা হবে। আর উল্লেখিত সড়কের গাছগুলো আমাদের আওতায় নয়, বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত