নন্দীগ্রামে সারের কোনো সঙ্কট নেই - উপজেলা কৃষি অফিস
নাজমুল হুদা
প্রকাশ: ২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:২০ | আপডেট : ৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৬
বগুড়ার নন্দীগ্রামে সারের কোনো সঙ্কট নেই। তা জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস। বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে, কেউ কেউ রবি মৌসুম শুরু হবার আগেই ডিলারদের নিকট থেকে অতিরিক্ত সার ক্রয় করে মজুদ করে রাখার চেষ্টা করে। সরাসরি কোনো কৃষক অভিযোগ না করলেও কেউ কেউ সার সঙ্কটের গুজব ছড়াচ্ছে। এমন গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন বিএফএ এবং বিএডিসির বীজ ও সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশন নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, খুচরা বাজারে প্রতিবস্তা ইউরিয়া ১৩৫০, টিএসপি ১৩৫০ টাকা, এমওপি ১০০০ টাকা ও ডিএপি ১০৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। প্রত্যেক সার ডিলারের সার বিক্রয় কেন্দ্রে সারের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা হয়েছে। সেই মূল্য তালিকা অনুযায়ী কৃষকরা সার ক্রয় করতে পারবে। এছাড়াও উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে নিয়মিত সার বিক্রয় কেন্দ্র বা গুদাম মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।
নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিসিআইসির ১৩জন ও বিএডিসির ২৩জন ডিলার চাহিদা অনুযায়ী সার উত্তোলন এবং বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও ডিলারদের নিকট থেকে খুচরা সার ব্যবসায়ীরা সার ক্রয় করে নিয়ে কৃষকদের নিকট বিক্রয় করে। অক্টোবর মাসের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ ছিলো ইউরিয়া ৩১৭ মেট্রিক টন, টিএসপি ২২২ মেট্রিক টন, এমওপি ৩২৬ মেট্রিক টন ও ডিএপি ৫৮২ মেট্রিক টন। যে কারণে নন্দীগ্রামে উপজেলায় সারের কোনো সঙ্কট নেই। আর সারের মূল্য বেশি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বিসিআইসির ডিলার ও গোল্ডেন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোখলেছার রহমান বলেন, আমরা সরকার নির্ধারিত দরেই সার বিক্রয় করে আসছি। আর আমার জানামতে নন্দীগ্রাম উপজেলায় সারের কোনো সঙ্কট নেই।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত