নন্দীগ্রামে শিশু আব্দুল মনিম হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১

  নাজমুল হুদা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৮ |  আপডেট  : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৯

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল মনিম (৪) হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ হত্যা ঘটনায় জড়িত একই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে শিশু আব্দুল মনিমকে হত্যা করে আমিনুল ইসলাম। এই ঘটনায় ১৬ ফেব্রুয়ারি ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই খাইরুল ইসলাম মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত শুরু করে। ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহারুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হত্যা মামলার আসামী আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। তাঁর দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী হত্যাকান্ডের মূল কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হন পুলিশ। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল মনিম (৪) ঘুম থেকে উঠে তাঁর মায়ের নিকট থেকে সিদ্ধ মিষ্টি আলু খেয়ে খেলনা রিকশা নিয়ে সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে বাড়ির বাহিরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। তাঁকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বেলা আনুমানিক পৌনে ১১টার দিকে জাহিদুল ইসলামের বাড়ির উত্তর-পশ্চিম কোনে টয়লেটের টাংকির ভিতর আব্দুল মনিমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি থানায় একটি হত্যা মামলা রজু হয়। মামলা নং ১০, ধারা ৩০২/২০১ পেনাল কোড। এটা একটি ক্লুলেস শিশু হত্যা হিসেবে পুলিশ বিভিন্ন সূত্রধরে গোপনে ও প্রকাশ্যে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করে। 

তদন্তকালে ঘটনাস্থল হতে প্রাপ্ত আলামত ও স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য একাধিক গুপ্তচর নিয়োগ করে তদন্তকালে জানা যায়, বাদীর প্রতিবেশী আনছার আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম পূর্বের বিরোধের জেরধরে এ হত্যাকান্ড ঘটায়। তাঁদের মাঝেমধ্যেই ঝগড়া বিরোধ লেগেই থাকতো। আমিনুল ইসলাম ঘটনার দিন আব্দুল মনিম (৪) কে তাঁদের বাড়ির সামনে ইটের রাস্তার উপর হইতে খেলনা রিকশাসহ পোস্ট অফিসের দিকে কৌশলে নিয়ে গিয় এরশাদ আলীর বাড়ির পিছনে টয়লেটের নিকট থেকে অর্ধেক ভাঙা ইট দিয়ে আব্দুল মনিমের মাথার পিছনে আঘাত করে হত্যা করে। পরে তাঁর মরদেহ কোলে করে নিয়ে গিয়ে জাহিদুল ইসলামের বাড়ির উত্তর-পশ্চিম কোনে টয়লেট টাংকির ভিতরে লুকিয়ে রেখে ঢেকে রাখে। এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন বিষয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে থানার অফিসার ইনচার্জের কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। সেসময় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মুস্তাফিজুর রহমান ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহারুল আলম।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত