নওয়াজ শরীফ বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড, দাবি ইমরান খানের

বিদেশি ষড়যন্ত্রের পেছনে মাস্টারমাইন্ড বা মূলহোতা হিসেবে কাজ করেছেন নওয়াজ শরীফ। শনিবারের করাচি জনসভায় এমন অভিযোগ করে ইমরান খান বলেন, ‘একজন লন্ডনে বসে আছেন। সে আইন থেকে বাঁচতে পালিয়েছিল। এখন আবার ফেরার পরিকল্পনা করছেন। পুরো পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এই ক্ষমতাবান চোরের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারবেন? আমি আদালত ও এনএবি’র কাছেও জানতে চাই তারা এবার কী করবে?’

এসময় তিনি নওয়াজের ছোট ভাই শাহবাজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর বিষয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘শাহবাজের বিপক্ষে ৪০ বিলিয়ন রুপির দুর্নীতি মামলা আছে। তার মতো মানুষকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়েছে। দেশের জন্য এর চেয়ে বড় অপমানের বিষয় আর কী হতে পারে।’

করাচির জনসভার আগেও ক্ষমতাচ্যুত ইমরান খান বারবারই বলছেন, অনাস্থা ভোটের পিছনে আছে বিদেশি ষড়যন্ত্র। আর সেই ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তিনি এক মার্কিন কর্মকর্তার নামও উল্লেখ করেছেন। যদিও তার এই অভিযোগকে বরাবরই ভিত্তিহীন বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তরের ডিজিও বলেছেন, ইমরান যখন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন, তখন তিনি ষড়যন্ত্র শব্দটি উল্লেখ করেননি। বলেছেন, ওই গোপন চিঠিতে অকূটনৈতিক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ইমরান করাচির জনসভায় তার সমর্থকদের কাছে প্রশ্ন ছুড়েছেন, অকূটনৈতিক ভাষা আর হস্তক্ষেপের মধ্যে পার্থক্য কী? 

এই জনসভায় ইমরান বলেন, ‘আমি এখানে বিশেষ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতে এসেছি। কারণ এই সমস্যা আপনার, আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের। এটা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সাবধনতার সাথে শুনবেন। এটা কী ষড়যন্ত্র বা হস্তক্ষেপ ছিল না? আপনার হাত তুলুন এবং আমাকে বলুন, এটা ষড়যন্ত্র নাকি হস্তক্ষেপ? 

এসময় তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে বড় মাপের বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। ইমরান বিদেশ বিদ্বেষী নয় দাবি করে বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে চাই, আমি কখনোই কোন দেশের বিপক্ষে ছিলাম না। আমি ভারত বিদ্বেষী নই, আমি ইউরোপ কিংবা আমেরিকা বিদ্বেষী নই। আমি আমি বৈশ্বিক নাগরিক। আমি কোনও জাতির বিপক্ষে নই। আমি সবার সাথে বন্ধুত্ব চাই, তবে কারও দাসত্ব করতে রাজি নই।