তৃনমূল যুবলীগের কর্মিদের স্পন্দন শাওন তালুকদার
 সাগর কর্মকার, বরগুনা প্রতিনিধিঃ
  সাগর কর্মকার, বরগুনা প্রতিনিধিঃ
                                    
                                    প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:৪৫ | আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৩৪
 
                                        
                                    দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আগামী ২১ ডিসেম্বর বরগুনা জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এই সম্মেলনেই ঘোষিত হবে নতুন কমিটি। এ নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে এখন বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। জেলা যুবলীগের এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নতুন কমিটিতে পদ প্রত্যাশী ২৪০ জন প্রার্থী ইতিমধ্যে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় দফতরে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্যে নতুন পুরাতনসহ ত্যাগী এবং হাইব্রীড নেতাও রয়েছে অনেক। রয়েছে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির প্রথমসারির অনেক নেতা।
এ প্রসঙ্গে আরও জানা যায়, চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম ডিসেম্বরের ২১ তারিখ বরগুনা জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেন। সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আল মিঠুসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর গত ২৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে, ২৬ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সকল পদের পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিতে বলা হয়। এতে জেলার সিনিয়র-জুনিয়র, ত্যাগী এবং হাইব্রিড অনেকেই জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ নেতারাই কমিটির শীর্ষ দুটি পদের জন্য জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। শীর্ষ পদ টার্গেট করে বিপুল সংখ্যক জীবন বৃত্তান্ত জমা হওয়ায় বিষয়টি এখন আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। এর আগেও ২০১৫ সালে সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসন থেকে ৫২ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনে দেশব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। যদিও সেটি ছিল স্থানীয় রাজনৈতিক কোন্দলের বর্হিপ্রকাশ। বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে কোণঠাষা করতেই এক শিল্পপতির অর্থায়নে এ ঘটনা ঘটেছিল বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে যুবলীগের নতুন কমিটিকে ঘিরে একই তৎপরতা শুরু করলেও ধোপে টিকবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলেন, যুবলীগের নতুন চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল যুবলীগের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে। শেখ পরশ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে। সে হিসেবে রাজপথ এবং ত্যাগীদের মধ্যে থেকেই নেতা নির্বাচিত হবে।
আর স্বচ্ছ ইমেজ আর ত্যাগীদেরই যদি নির্বাচিত করা হয় তাহলে সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রনেতা শাওন তালুকদার সাধারণ সম্পাদক পদে অন্য পদপ্রার্থীদের চেয়ে খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে। তিনি ২০০১ সালে বরগুনা সরকারি কলেজে অধ্যায়নের সময়েই ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। ওই সময়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি এনায়েত করিম মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। বিএনপির দুঃশাসন ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে রাজপথে ওই সময়ে তার সেই শক্ত ভূমিকা এখনও চায়ের টেবিলে আলোচনায় উঠে আসে। তাছাড়া, ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বরগুনায় যে কজন প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন, গোপনে ব্যানার ফেস্টুন টানিয়েছিলেন- তিনি ছিলেন তাদের একজন।
তবে শাওন তালুকদার তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। তখন জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকাকে কোণঠাষা করতে যখন কতিপয় ভুঁইফোড় হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতা ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে চলেছিল তখন সে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শাওন তালুকদার। ওই সময়ে বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জননন্দিত সাংসদ অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে বিশাল জয়ে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
উল্লেখ্য, শাওন তালুকদারের পিতা বর্ষীয়ান ও ত্যাগী রাজনীতিক সুবল তালুকদার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের একজন অন্যতম প্রতিবাদী। তিনি দীর্ঘ চল্লিশ বছর যাবত বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সততা, নিষ্ঠা এবং নির্লোভ জীবন যাপনের জন্য সবমহলে তার ঈর্ষনীয় গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত
 
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
            