সাফ যুব ফুটবল

তিন লাল কার্ডের ম্যাচে অপরাজিত থেকেই ফাইনালে বাংলাদেশ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২ আগস্ট ২০২২, ২০:৪৬ |  আপডেট  : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭

আগে গোল করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এতে ফাইনালে উঠতে নেপাল বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। হিমালয়ের দেশটির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পল স্মলির দল। উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচে রেফারিকে দেখাতে হয়েছে তিন লাল কার্ড।

চার ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছে। অন্যদিকে নেপাল ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে ওঠা বেশ কঠিন করে ফেলেছে।

ভারতের ভুবনেশ্বরের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে শুরু থেকে বাংলাদেশ সাবধানী ফুটবল খেলতে থাকে। যে সুযোগ এসেছে তাতে প্রতিপক্ষের গোলকিপারকে বড় পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। এই অর্ধে বরং নেপাল অনেকটাই আধিপত্য করেছে। কয়েকবার বাংলাদেশের সীমানায় বল নিয়ে আতঙ্কও ছড়িয়েছে। গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।

ম্যাচ ঘড়ির ৯ মিনিটে বাংলাদেশ প্রথম সুযোগটা পায়। সতীর্থের বাড়ানো বল রফিকুল ইসলাম নাগাল পাওয়ার আগেই ছুটে এসে গ্লাভসে নেন নেপালি গোলকিপার। ১৩ মিনিটে সুমিত শ্রেষ্ঠার ভুল হেড পাসে খেলার ধারার বিপরীতে সুযোগ পেয়েছিলেন রফিকুল, কিন্তু তার শট যায় সরাসরি গোলকিপারের কাছে।

একটু পরই আয়ুস গালানের শট গোলকিপারের গ্লাভস ছুঁয়ে বাইরে গেলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। ৩৩ মিনিটে বক্সের একটু ওপর থেকে দীপেশ গুরুংয়ের বাঁকানো ফ্রি-কিক বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকান মোহাম্মদ আসিফ। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি।

বিরতির পর উত্তেজনার পারদ আরও বাড়তে থাকে। ৪৭ মিনিটে তানভীর ফেলে দেন ক্রিতিস রায়নাকে। এটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হলে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। মালদ্বীপের রেফারি সহকারীদের সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশের শহীদুল ইসলামকে ডাবল হলুদে লাল কার্ড দেখান। অধিনায়ক তানভীর দেখেন হলুদ কার্ড। আর নেপালের দীপেশ গুরুংকে দেখতে হয়েছে সরাসরি লাল কার্ড। এছাড়া তাদের একজন বেঞ্চের খেলোয়াড়ও লাল কার্ড দেখেন।

দুই পক্ষকে এই সময় ১০ জন নিয়ে খেলতে থাকে। ৬৩ মিনিটে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। মজিবুর রহমানের কাটব্যাকে পিয়াস আহমেদ নোভা নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন। তবে ৫ মিনিট পর নেপাল সমতায় ফেরে। ৬৮ মিনিট নিরঞ্জন মাল্লা বক্সের বাইর থেকে বুলেট গতির শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। শেষ দিকে বাংলাদেশ চেষ্টা করেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। ৮৭ মিনিটে পিয়াস একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বক্সে ঢুকে গোলকিপারকে একা পেয়ে তার শরীরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। একটু পর আরও একজনের জোরালো শট ক্রসবার ছুঁয়ে যায়।

আগামী ৫ আগস্টের ফাইনালে বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ভারত।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত